মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

তৌহীদা ইয়াকুব


তৌহীদা ইয়াকুব

শ্রাবণের মেঘ

ভিজে বাড়ির উঠোন মনে এলেই
সৌদামিনী আঁচল পেরিয়ে
বাস্তু ঘুঘু প্রদক্ষিণ করে অনুকূল মৌসুম।
পুঁইলতায় নির্ঝরের অবিরাম ঘোর অতল খুঁড়ে,
পলাতক সইকথা 
ডেকে আনে গৃহিণীর আদিষ্ট অবসরে
আটকে পরা বর্ষা সন্ধ্যায় মণ্ডূকের
সমবেত উদযাপন ছুঁয়ে যায়
স্যাঁতস্যাঁতে রাতের গালে অজানা শিহরণ।
শৌখিন চিমনীর কারুকাজ নৈর্ব্যক্তিক অন্ধকারে
রূপোলী মাছের সন্তরণের ঘোর নিয়ে
গৃহস্থালির বৃষ্টিপাত সাজে মেঘের আকাশে। 








লাম্পট্য

এখানে শ্রাবণ বলে কিছু নেই
পবিত্র নির্ঝর দিনে বলা আছে ‘প্রার্থনায় ইচ্ছেপূরণ’
অথচ এইসব দিনে লাম্পট্যের পতাকাবাহী
মিছিলের চোখ সৈকত -প্রহরীর দূরবীণে
হেমলতার শরীর থেকে
খুলে আনে বিকিনি সংক্ষেপ ।








চরিত্রহীন দুপুর বেলা

বিছানা থেকে ঘুম কুড়িয়ে তোমায় দিলাম
রাত্রি তবু ফুরিয়ে গেলো। নরম রোদে সকাল হোলে
বাইরে তখন বৃষ্টি নামে ।
জগত জুড়ে বিপদ কালের শব্দচয়ন ,আর ওভাবেই
উঠছে জমে ভীষণ গাঢ কালো ছায়া।
মনের কোথাও কু-ডেকে যায় ,
জড়িয়ে থাকা খুব গহীনে, গৃহস্থালির সবটা মায়া।
ঠিক তখনই ভিজে শরির অন্য বাড়ির হেমলতা বন
পার হয়ে যায় সীমার ভিতর মনের কাঁটা
কে আর পারে
আগলাতে আর আগলে নিতে শ্রাবণ ধারা?
আকাশ নিয়ে নামছে মেঘের রূপ জড়ানো
হেমলতা বন স্থির হয়ে যায়, কোথায় আমি?
হারিয়ে আর হেরে গিয়ে খুব নিরালা
দীর্ঘশ্বাসের শরীর ছুঁয়ে বুঝতে পারি--
মুঠো থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তোমার দু’চোখ
তখন ছিলো চরিত্রহীন দুপুর দু’টা