জারা সোমা
অভিধান
অভিমান ঝরে পড়ে বৃষ্টি হয়ে
দুজনের
আলাদা রঙা ছাতা
লিখে ফেলে অভিসারের গল্প
হাজারটা দ্বিমত থাকলেও
অভ্যাসী ঠোঁট সেরে ফেলে আলাপ
নকল দাম্পত্য দাঁড়ায় মুখোমুখি
সোহাগী আঁচল মুছে দেয় আরশী
দ্বিগম্বর শরীরে তখন মেঘমল্লার
অভিধান ঘেঁটে বরং খুঁজি নিই
বাৎসায়ন রচনা।।।
স্বয়ম্ভর
সময় গিলে নিচ্ছে
অহংকার
যাপিত জীবনের
ধারাপাত
আজ মানুষ বন্দী আপন
গৃহে
প্রকৃতির কাছে ডানা
মেলেছে আদিমতা
নতজানু হয়
বাস্তুতন্ত্র
শহরের সাথে সখ্যতা
পেতেছে বন্য
গহীন অরণ্যে ভেসে গেছে স্পর্ধা
অবাধে নেই শোক-বিরহ
চিলেকোঠায় দাঁড়ালেই
ধরা দেয় চাঁদ
যেন যৌবন ধরা দিয়েছে
গরিমায়
ঝলসে যাওয়া চোখে
রূপের মোহে
প্রকৃতি ও সময়ের
স্বয়ম্ভর।।।
প্রতিশ্রুতি
আজ বরং আলগা হোক মুঠি
বাঁধনহীন হোক বন্দী গতজন্ম
প্রতিটা স্পর্শে
জন্ম নেওয়া অসুখ
গুলিয়ে ফেলে
মুখ-মুখোশের সংজ্ঞা
সীমন্তে আঁকা থাক
স্বজনবৈরাগ্য
আত্মরতির একক বিছানা
দূষিত বাতাস
জুড়ে মৃত্যুগন্ধে
সুগন্ধি সাবানে ধুয়ে
যাক অমরত্ব
ঠোঁটের মাঝে চেপে
ধরি আঙুল
সময় বেঁধে দিক
ব্লোজব প্রতিশ্রুতি।।