আলম তৌহিদ
যে নদী পাড় ভাঙ্গে
অসম্ভব রূপবতী যাকে আমি নদী বলে
ডাকি
কানায় কানায় যৌবন তার
অভ্যস্থ সংসারে পড়ে থাকে
নির্বিকার
শরীরে তার শত-শতাব্দীর
বেদনাভার।
একদিন নদী এসে ঢেউ তুলে আমার
চোখে
ছড়িয়ে দিলে বুকের কোমল সুরভি
নদী থেকে হলো আরও নদী
শাখা নদী-উপনদী-ছোট নদী।
বলে সে-
আমি নাকি সব পথে যেতে পারি।
তারপর ঘুমঘোরে শুনি পাড়ভাঙ্গা
শব্দ।
ভেঙ্গে পড়ে এই পাড়
ধ্বস নামে অই পাড়ে
মাঝখানে আমি ভাসি কদলীর ভেলা
হয়ে।
জুলেখা -রাধা
ইউছুপের মুখে ফুটে আছে চাঁদ
পরকীয়া প্রেমের আফিম
জুলেখার চোখের বৃন্তে
ফুটেছে রঙিনগোলাপ।
শ্যামের বাঁশির সুরে অবাক রাধা
ঘর ছেড়ে বিনোদীনি
পড়লো নিধুবনে বাঁধা।
পরকীয়া সুখ,না অসুখ
বুঝেছিলো জুলেখা আর রাধা।
পরকীয়া চাকের মধু
পরকীয়া মানে চাকের মধু
তুমি মৌ-রানি
তুমি বৃন্দাবন বিনোদিনী
মহুয়ার ফুল।
আমিও গোকূলের বংশীবাদক
হয়ে গেছি মৌচোর।
মত্তলীলার ঘোর কেটে গেলে
চাকের রানি ফিরে যায় চাকে,
হাজার মৌমাছির হুলের কাঁটা
বিঁধে আমার মনে।