শ্যামলী রক্ষিত
পরকিয়া অভিসার
মনের পরাগে ভিজে ওঠে কত পরকিয়া
,
শরীরের অভিসার শরীরে মিলায়
বসন্ত রঞ্জিত হয় মানস মিলনে
প্রতিবিম্বের মত ছড়িয়ে পড়ে
কাচের দেওয়াল জুড়ে
অসংখ্য প্রেমিকের মুখ
জলভরা শ্রাবণ মেঘের মনের গভীরে
যাতায়াত
প্রতিটা পরকিয়া সঙ্গমে
আসলে সৃষ্টির উল্লাস,
রাধা প্রেমে কৃষ্ণ বাঁচে
জন্মাষ্টমী প্রহরে
রাধার অভিসার তো
বন্ধন ছিন্ন করার বাসনা
প্রেম তাই শরীরে নয় মনে করে
বাস
প্রতিটা পরকিয়া অভিসার আসলে
মুক্তির উচ্ছ্বাস ।
অভিসার
বিজন বাতাস এসে পায়ে পায়ে
লুটায় যখন
কে যেন বাঁশি বাজায় বুকের
অলিন্দে
আনমনে ভেসে যায় শ্রাবণ দুপুর
ঝরা কামিনীর গন্ধে বেহুঁশ পরদেশি পথিক
পথ ভুলে এলোমেলো হাওয়ায় উড়িয়ে
দিল তার
জল রঙা উত্তরীয়।
মেঘ এসে হাত ধরে নিয়ে গেল সেই
সুর ভেজা পথে
পদচিহ্ন এঁকে দিয়ে ,
চুপি চুপি বলে গেল সে
গাছেদের কানে কানে
সে এলে বলো দুদণ্ড থাকে যেন
শুধু আমারই জন্যে এই নির্জন
পাড়া গেঁয়ে দেহাতি কাননে।
ভালোবাসা
সুনিশ্চিত করে বলো নি কোনো দিন
চার অক্ষরের একটা রঙিন পৃথিবীর
কথা,
অথচ জানি - - - -
সমস্ত বর্ণপরিচয় শুধু লালেলাল
হয়ে গেছে
পিয়ানোর ভাঁজে ভাঁজে যেমন ঘুমিয়ে থাকে সুর,
তেমনি করে গোলাপের মত টকটকে লাল
হৃদয় পাপড়ি বিছিয়ে ঢেকে
রেখেছে
পৃথিবীর সব বর্ণের মানচিত্র।
ব্রম্ভান্ড ঘুরে ঘুরে সুতোকাটা
ঘুড়ির মত খুঁজেছি কত
নীলাদ্র নীলিমার গভীরে, সুনিবিড় উষ্ণতা।
পরিশ্রান্ত পথিকের মত ফিরে এসে
দেখি
সেই অদৃশ্য সুতোর খুঁট তোমার
হাতে
দমকা টানে বুকে টেনে নিলে যাই
পাপড়ি মেলে দিয়ে দাঁড়ালো সে
এসে
বুকের গভীরে ডুবে থাকে সে
অঞ্জলি পেতে দাঁড়িয়েছি নতজানু
আমি
তুমি দিয়েছো অসংখ্য
শব্দমালায় সজ্জিত
পরকিয়া মহাকাব্যের ঘ্রাণ ।