শুভশ্রী সাহা
নির্জন দ্বীপে
বেশ লাগে এমন সব দিনে
নির্জন দ্বীপের মত একা হতে
ছড়ানো দুপুর শুয়ে আছে চুপ
সাদা কালো সিঁড়িটির পাশে
ক্যানভাসে শিল্পীর ধূসর আলোতে
মেঘলা ছবিতে
তুলির নিপুণ টান
বেশ লাগে এমন দিনে বিচ্ছিন্ন
দ্বীপের মত একা হয়ে যেতে
ধারে কাছে কেউ নেই, পুরোনো বই
হলুদ স্মৃতি
ধোঁয়াওঠা কফির কাপ--
ঠোঁটের ভাজ, নিপুণ টোল
হয়ত অন্য কোথাও, অন্য লোক
পুরোনো বইএর খাঁজে শুকনো গোলাপ
এমন দিনে রাগে, পরজবসন্ত আলাপ
পরকীয়া
খড়খড়ির ছেঁড়া আলোয় খোলা পিঠ,
শীতের দুপুরে
কথামালা লেখে আস্ত ভালোবাসা
ব্যাতিক্রমী দিন বলে যায় বাঁচার কথা, আবার
অভিমানী সুর ছড়ায় রাগ কামোদ
রোজের জীবন ছেড়ে বেরিয়ে আসে রূপকথা
দিন পেরিয়ে রাত ঝরিয়েছিল শিশির
কেউ কি জানবে...
পৌষের বিকেলে, চৈত্রের পলাশ ফুটেছিল
পৌষ সন্ধ্যায় কাশ ছড়িয়েছিল সুবাস....
বেহায়া মন!
উন্মনা মন! সেই রিং টোন
উতল দুপুর, সুখের রোদ
একটি দুটি গানের কলি
কিশোর ডাকে ও মনচলি
হায় রে মন! তুই বেহায়া
হতেই হবে অথ পরকীয়া--
পরকীয়া কি! সে বানভাসি
নদীর মতোই সর্বনাশী
তবুও মন সে দিকে ধায়
চোখ যে শুধু তাকেই চায়।