অভিজিৎ দাসকর্মকার
ঘনিষ্ঠতা একটু বেশিই হয়ে যায়
১টা ১টা টোলট্যাক্স পেরিয়ে
পেরিয়ে
প্রথমে অর্ধেক ইশারা, তারপর দেখছি
ট্রাফিক জ্যাম গণিত মানছে না, আর এদিকে ট্রয় যুদ্ধের
নায়িকা আমার সাথে দীর্ঘদিন ক্লাস করছে____
আমি অনবরত মগজে বিপদজনকভাবে
গোস্ত জমিয়ে চলেছি, আর
তোমার দেয়াল-ক্যালেন্ডারে
রবীন্দ্রনাথ চাপা।
তুমি ক্যামেরার সামনে, তারিখগুলোকে পিছন করে
বসেছো।কতো লিপস্টিক। কতো গজ দাঁত।
ধূস বলবেন না। পড়ছেন আর খিস্তি
করছেন?
করুণ।
আমরা অনেক সমতলভুমিতে থাকি। তাই হঠাৎই স্বপ্নটা সজোরে ভাঙার পর পরই, পরিস্থিতির স্নায়বিকতায়
শেষ পর্যন্ত একবার ঘুরে যান। প্রয়োজনে ফুসফুসে জাঁক দিন।
কারণ এখনো অনেকে রূঢ় পাড়াতে
থাকে। সেঁদো দিন কাটায়। চাঁদের দাপুটে জৌলুশ পড়ে টিনের ফাঁক দিয়ে। সেইকারণে এই
অঞ্চলের মাটির অনেক উর্বর শরীর আচমন করে, আর
তাই ঘনিষ্ঠতা একটু বেশিই হয়ে যায়____
ব্লটিংপেপারে মন ক্যামনকরা
অজুহাত
একটা ইমেজের সিনটেক্স তৈরি হয়ে
গ্যাছে পছন্দের গানটি শেষ হবার পরই । তার পরের লাইনটি অসমতল গদ্যরূপ।
কবিতার ভিতরে অজুহাত ঢুকিয়ে দিয়েছে, আর পাশের পাড়া অসংখ্য
সেমিকোলন ধরে ১টি অবাধ্য সকাল মুক্তাঞ্চলের দিকে হাঁটছে। এই হাঁটা অনেকটাই ফেটেপড়া
অক্ষমতার শিকড়হীন গন্তব্যমুখি
বান্ধবীর শরীরের চেসমি আবেগ। লিনতাপ আর রিয়েল
ইমেজ। না পাওয়া এবং ইত্যাদি কুঁৎকচাল। কাউন্টডাউন তারপর কলড্রপ।
আমার ইমাজিনারির ভিতর তোমার
কোমরের ঘাম,
গড়িয়ে
আসছে।
হে ঈশ্বর ব্লটিংপেপারে মন ক্যামনকরা
অজুহাত আর তোমার ফ্যান্টাসি।
আমি ন্যাকামির আওতায় রয়েল
এনফিল্ড চড়ছি। চসার আর বয়েলের মুখোমুখি যুক্তিফাটল বইছে।
তারপরও নাকে নাকে খুঁজে চলেছি
ভ্যানিলা খুশবু।
ওপাড় থেকে নন-বান্ধবীর ডাক
আসছে। এপাড় আর ওপাড়ের শূন্যস্থানে মেঘমল্লার গাইছেন মিস্টার তান সেন গুপ্তদালানে।
তুমি লক্ষ্য করোনি আসলে আমি তোমার থিওরির মেমব্রেনমিস্ট্রি অনুকরণ করছি ১৩নং
কামারপাড়া লেন থেকে ___
সর্বনাশের অ্যালফাবেটসগুলোকে
চা দাও বলতেই কেতলির ভিতর থেকে
বেরিয়ে আসলো ঝুরঝুরে বীজগণিতের নিয়মাবলি, আর
তাতে ব্যবহৃত বর্ণমালার আন্দোলনে কোনো শরীরীক
গঠন প্রণালী নেই।
আছে অহেতুক জটিলতার ফুরসতে
স্নিগ্ধ ঘুমভাঙানিয়া___
পেন্সিলস্কেচ। শহুরে ছায়ার অনেক ব্যাকরণগত ভুল।
চা পাতাগুলো নিজেদের মেলে ধরছে
গলনাঙ্কের অনুশাসনে। কী বলিষ্ঠ রিয়েলিটিভরা পেলবতা এবং তার সাথে মিল ও মিশে গ্যাছে
ট্যালট্যালে মনখারাপের সাইটোপ্লাজমিয় কারণগুলো____
এতো সহজিয়া জীবনী-নামতা ধরে কবিতা শরীরের
বারান্দায় হাঁটবো। লিরিক্যাল সমীকরণ করবো। স্পর্শ করবো না-বলা ইচ্ছের দারুচিনি
দ্বীপ,
আর
বারবার নিজেকে আপগ্রেড করে নেবো
সমকোণী ত্রিভুজের বাঁ-পাশে বসা চা-খাওয়ার সময়গুলো। এমনকি
জীবন থেকে
সৃষ্টি হয়ে আসা
সর্বনাশের অ্যালফাবেটসগুলোকে______