সুনন্দ মন্ডল
শয্যা
শরীরে শরীর ঘেঁষে দাঁড়ালে
স্ফুলিঙ্গ বয়ে যায়
শুষ্ক নারী দেহ সয়ে নেয় পুরুষের
কাম।
আলিঙ্গনাবদ্ধ পুরুষের
নিত্যসঙ্গী হতে
এলোচুলে বিছিয়ে দেয় কোমল শয্যা।
প্রণয়বিলাসী বক্ষে উন্নত ঠোঁট
চিকন গালে ঘষে দিতে পারা সময়ে
নির্ণায়ক পরিস্থিতি বিচারের
কর্মশালা গড়ে তোলে।
অভ্যন্তরে ফুটে ওঠে রতিচক্র!
প্রণয়
শুষ্ক কাঠেও চেতনা থাকে
জল শুষে নেওয়া মাটিতেও থাকে
প্রাণের সঞ্চার।
যে দেহ কলঙ্কিত
মিটিয়ে নিয়েছে সদ্য হারানো
স্বামী শোক।
বিভেদের দুমুখে লালসা গুঁজে
দিয়ে
আশা মরে গেলেও,
যৌবনা মেয়েটির প্রেম মরেনি!
শরীরের জল গড়িয়ে গেলেও
শীতল স্নেহে টেনে নেয় অতৃপ্ত
যৌবন।
পরকীয়া-১
কে বলেছে প্রেম একবারই হয়?
প্রথম প্রেম ভুলে দ্বিতীয়
প্রেমে,
দ্বিতীয় থেকে তৃতীয়ায় জড়ানোই তো
পরকীয়া!
তার জন্য বিবাহিত হতেই হবে তার
কোনো মানে নেই।
পুরুষ ও স্ত্রী ভেদে পারস্পরিক
আকর্ষণে,
মধুজ সম্পর্কের নামে দিব্যি চলে
যায় দিন।
সময়ান্তরে কানাঘুষো সমাজে
প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদায়
উন্নীত হয় দেহজ নদী।
যতদিন বালির চর দেখা না যায়
ততদিন সুখের ঢিবি বয়ে চলে
স্রোত।
পরকীয়া-২
চাদর মুড়ে রাতের শরীরে নিজেকে
সঁপে দিয়েছ,
তুলে নাও সম্মোহনী বাণ।
সম্ভোগে রেখে পুরুষ
আনন্দ বিলাসের সংসার পেতে নাও।
হে পুরুষ,
তুমি শুষে নাও কাম
গিরগিটি হয়ে ছুটে চল বুকে পিঠে!
খাঁজে খাঁজে দাগ রেখে চলে যাবে
জানি
তবু এ শরীর মানে না!
তাই এসো,
জীবন্ত উল্লাসে মেতে ওঠো একবার
আমি দুয়ারে শয্যা পেতেছি।