শিবানী বাগচী
পরকীয়া
হঠাৎ যদি শূন্য বুকে
অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে?
ছলকে ওঠে হৃদয় তোমার
আজব খেয়াল সংগোপণে!
তখন সে প্রেম আবেগ প্রবল
ভুলতে গিয়েও পড়ছে মনে!
উষ্ণ ঠোঁটের আলতো ছোঁয়া,
গভীর হয়ে বাজবে প্রাণে!
যদিও সেতো নয়গো আপন
অবৈধ তা হৃদয় জানে!
পরকীয়ায় ভাঙলে জীবণ
কান্না ভেজা ব্যর্থ মনে?
দুহাত দিয়ে ফিরিয়ে দিলেও
অবুঝ সোহাগ জড়িয়ে ধরে।
কেমন করে বোঝাই বলো
আঁধার ঘরে আপোষ করে?
ধানী রঙ শ্যাওলা
সময় যখন থমকে দাঁড়ায়,
বিকেলের, চৌকাঠ-রোদ্দুরে!
বহুযুগ পর তুমি আমি
মুখোমুখি নির্বাক মাদুরে!
ভালবাসার শিশিরে লেগেছে
আজ ধানী রঙ শ্যাওলা।
ধূসর প্রলেপ অভিজ্ঞতায়,
এযে জীবনের শেষ বেলা!
ভালবাসা আজও চাঁদনী
রাতের সোহাগ মাপে!
সাঝ অবেলায় পরকীয়া -
নাকি নিষেধের ভুল?
পাওয়া না পাওয়ার পথের বাঁকে?
পরকীয়া ইশারায়
অবৈধ কিছু সম্পর্কের অনিয়মে,
মনের আঁধারে এক চিলতে রোদ্দুর
এঁকেছিলাম শুধুই ভালোবাসার !
আজ আঙুল তল্লাশির স্পর্শে
অনুভূতিগুলো সহসা চৌকাঠ
ডিঙাতে চায় -
অনেক কটা বসন্ত পিছনে মাড়িয়ে,
ঝড়ো বৃষ্টি সারা অঙ্গে লেপে
বেঁধেছি তোমার ঘরেই আমার বসত, অনাহুতের মতো।
পায়ে পায়ে মিলিয়েছি পথ, ভিজে ঠোঁটে এঁকেছি
আল্পনা;
তোমার
তৃষ্ণা মেটাতে নিভিয়েছি বুকের হা হুতাস।
আমি যে তোমার হলদে রোদ্দুরে
অবৈধ শব্দের নীল খামে মোড়ানো
শিশিরে ভেজা প্রাক্তন?
তোমার তৃষিত নোনা শরীরে তুলতে
পারি গোপন কামনার মৃদু কম্পন;
আর তুমি?
সন্ধ্যার আলপথ ধরে,প্রতিটি রাতের গভীরে
ক্লান্ত অভিসারে দেখা নতুন সূর্যদ্বয়!
ভাবি যদি শুষে নিতে পারতাম
বসন্তের উন্মত্ততাকে,জোছনা
চোবানো সোহাগের গায়ে লেগে থাকা কলঙ্কের অমোঘ টানে?
তুমি তো তার কোন নাম দাওনি?
শুধু অবৈধ শব্দ ছড়িয়েছো
পরকীয়া ইশারায় ---