পৌলমী ভট্টাচার্য্য
বহুগামিতায় নষ্টনীড়
দ্রৌপদী কোন পাপে পঞ্চপাণ্ডবদের
উদ্দ্যেশে
নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন?
হে পঞ্চপাণ্ডব তোমরা কী
শুদ্ধাচারী পৌরাণিক পুরুষ
নাকি শুধু এক একটি চরিত্র?
মাতৃ আজ্ঞা পালনের নেশায় ছিলে
তৎপর
নাকি ভোগ করার কামনায় সিদ্ধহস্ত?
কখনো কী সম্মান জানিয়েছিলে
কৃষ্ণার মনোবাসনার?
পরকীয়ায় সিদ্ধিলাভের সিদ্ধ
পুরুষগণ ধিক তোমাদের,
ধিক কৌন্তেয় অর্জুন, তুমি মেতেছিলে বহু
নারীর শরীরী উন্মাদনায়-
ছলের আশ্রয়ে এ কোন ন্যায়ের
তুলাদণ্ডে বসালে পাঞ্চালী কে!
কোনদিন ভেবেছিলে পঞ্চপাণ্ডব, পাপের একটাই চারণভূমি
যেখানে লঘু – গুরুর মান
সমানুপাতিক ।
পরিশেষে, প্রণম্য মাতা তুমি
কুন্তি
ক্ষুরধার মগজাস্ত্র তোমার -
এক নারী হয়ে আর এক নারী কে
উপহার দিলে এতগুলো শরীর!
ভাগ বাটোয়ারা করতে তোমার
ওষ্ঠ যুগল কাঁপল না মাতা?
পার্শ্বতীর বদলে স্বার্থান্বেষী
জননী সম্বোধিলে
শিক্ষিত সমাজের মস্তক চ্ছেদ হবে
কী?
প্রথম বাহু বন্ধনে তুমি কার
তৃপ্তি সঞ্চার ঘটিয়েছিলে ?
ভবিষ্যৎ জানতে চেয়েছে এই ইতিহাস?
ব – এ বেশ্যা
নির্বাসন দিয়েছে সুস্থ সমাজ ঐ
নারী কে
পাপ করেছিল বাঁচতে চেয়ে
ক্ষয়িষ্ণু মন পতিব্রতা নারী
রূপে বিলাসিতা করেছিল
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে _
কালের অমোঘ শাসন
ওকে
দাড় করালো নগ্ন বাজারে।
শাখা সিঁদুরের ধ্বংসাবশেষ
পড়েছে ভূলুণ্ঠিত হয়ে,
মাথা উঁচু করে দর হাঁকছে
খুবলে যাওয়া শরীরী আমেজ
রঙে রাঙানো ঐ বেশ্যাটা
লাজবাব -
কী আশ্চর্য! আজ ও বেশ্যা।
একটা রাত করেছিল পরিহাস -
তুই শালা পতিব্রতা রমণী?
খাবি কী? খাওয়াবি কী?
বিক্রি কর নিজের শরীর,
শরীরে জড়িয়ে নে বেশ্যার সুতো
নতুন নতুন শরীর খুঁজে
ছড়িয়ে দে বিষের আভরণ
জন্ম দে নতুন পাপিষ্ঠার।
জৈবিক লালসা
বহু জন্ম ধরে প্রতীক্ষায় বাস
নিরলস প্রচেষ্টায় এগোল
মুহূর্তরা
ক্ষুধার বাসনায় জর্জরিত জৈবিক
দেহে
অপর জীবের বাস -
বোহেমিয়ান সে নয় ।
ক্রোমোজোমের সাক্ষাৎ হয় রসায়নের
বিন্যাসে
আলাপে এগোয় আলাপচারিতা
খিদে ছোটে কামের কাছে
সর্বকালীন ও সর্বজনীন রোগে ওঠে
জোয়ার ।
ষড়রিপুর অবস্থানে তৈরি হয় জৈবিক
প্রক্রিয়া
দুঃখ শোকের আশ্রয় ছেড়ে
গুটিপোকা ওঠে জেগে ,
জারিত রসে কামার্ত আশ্রয়ে
মিলিত হয় দেহ, চাহিদারা ।
এক কোণে পড়ে আছে নিঃসহায়
কুঁকড়ে থাকা বাজা মন; তবু,
জৈবিক লালসা রূপ নেয় নিষিদ্ধ
প্রেমে
কালজয়ী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়
পরকীয়া ।