লক্ষ্মী নন্দী
পরকীয়া
ভালোবাসা বাসা বাঁধে হৃদয়ে
নীড়ে বাঁধা পরে অভ্যেস।
গুপ্ত অহংকার
কতদিন অনিচ্ছা সত্ত্বেও নদী
হয়েছি। সাঁতারও খুলেছি ।
কিন্তু যে-বার আষাঢ়ে একটা
আস্ত পুকুর এসেছিল আমার
উঠানে। আমি স্ব-ইচ্ছায় সেবার
প্রথম নদী হয়েছিলাম। সাঁতারও
কেটেছিলাম বেশ । সাঁতার
ভাঙতে ভাঙতে চাঁদকে দেখেছি
পুকুরের আয়নায়। দূর থেকে
পরকীয় জাদু দেখছিল চাঁদ।।
প্রসিদ্ধ প্রেম
হ্যালুসিনেশন ঝেরে ফেলা
রাধাকে তর্জনী এনে দেয়
বিন্দাস বিন্দাবন। বাজিমাত
হয় সব আচ্ছন্নতা। বল্লভ
রাধার শরীরে শরীরহীন
হেলান দিয়ে বসে কণ্ঠস্বর
মৃদু। তুমি প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিলে
বিবসনা হবে মনে আছে?
সর্বঙ্গে মেশে সৌভাগ্য।
চলে বিশুদ্ধ ত্রিগুণাতীত
অভিজ্ঞতার শৃঙ্গার।
রুদ্ধশ্বাসে ধারা বিবরণে হয়
অনুরক্ত। হ্যালুসিনেশন
ঝেরে ফেলা রাধাকে রোজ
তর্জনী নিয়ে যায় লীলাক্ষেত্র।
আহা প্রসিদ্ধ প্রেম।
সর্বত্যাগী
হে বোধদীপ্ত তুমিই দিয়েছ
তপস্যা নাম
আমার।
তোমার দেওয়া রুদ্রাক্ষমালা
যখন, আমি আনমনে হাতে
তুলে নিলাম। একটা শীতল
সত্য এসে প্রাণ জুড়িয়ে দিল।
অন্ধকারকে ঢেকে দিল তোমার
দক্ষ গেরুয়া বসন। হে যোগী
তোমার চোখে কতদিন
দেখেছি
বিদগ্ধ অভিমান। যেখানে ঘায়েল
হয়েছে উর্দ্ধমুখী
ডানা আমার।
তোমার চোখের উজ্জ্বল হাসি।
তোমার কণ্ঠে উচ্চারিত হওয়া
বেদ- উপনিষদ তোমার সমস্ত
শরীর থেকে বেরিয়ে আসা
বিদ্যা --পরাবিদ্যার সুবাস।
আর তোমার স্থির দৃষ্টি
আমার দৃষ্টিতে রেখে নির্বাক
প্রতিশ্রুতি ---যাতে ছিল এক
অন্য তোলপাড় আত্মার সঙ্গে
পরমআত্মার মিলনের !
এক সময় তুমি হয়ে উঠলে আমার
প্রত্যয়, ধ্যান।
সন্ন্যাসী, তোমার গেরুয়া
নিঃশ্বাসের
চৈতন্য সুধা এখন সেতুহীন নদীর
মাঝখানে প্লাবন বইছে-।
তুমি সেখানে শোচনার অর্ধসত্যের
ঘুমে চড়েছ , যাবে নির্বাসনে একনিষ্ঠ
জ্ঞানতাপস হতে। দেখো আমিও
তোমাকে বিদায় জানাতে গেরুয়া
পরেছি!!! আমার উড়ন্ত আঁচল
দিয়ে
মুছে দিচ্ছি সন্তানের মুখ -। জানি
তুমি যেখানেই থাকবে তপস্যাকে
ছাড়া থাকতে পারবেনা কক্ষনও -।
তপস্যাও ত্রি সন্ধ্যার রূপ
ধরে একান্ত
তোমার হয়েই থাকবে পতির গৃহে।
রোজ রোজ সূর্যস্নাত সতেজ হবে
তপস্যার ইড়া-পিঙ্গলা সুষুম্নারা।
সূর্য, বিশ্রাম নিলেই নতুন নতুন
সন্ধ্যার
মাথায় জ্বলে উঠবে মণি। তবে আর
একবার বলি, তোমাদের ও-ভাবে
তাকাতে নেই--
স ন্ন্যা সী।।