সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০

দেবযানী বসু

 


দেবযানী বসু


সমান্তরাল র্যালিপথ


জলপাই গাছের মনের অধিকার তোমার। অধিকারের প্রচুর স্পনসর গড়াগড়ি যায়। কেটে রাখা হয় নির্বাচিত হবার দিন যুগ পঞ্চসায়রের র্যালিপথে। হাসির নিক্তি মেপে মেপে হ্যারিকেন হাহাকার আসে। তির্যক প্রেমের নীতি রীতিমতো চুলে বপন করা যায়।  আলেয়া প্রেম সবসময় চোষে না।

নৌকো তির বরাবর দৌড়য়। আমি মাটিতে ঘসা খেতে খেতে চলি। বুঝি ডালিম গাছ মিলে তিন পা। কফি পানের ধুম ধাড়াক্কা । কফি ধরা হাতের আদর। লংশটে ক্লোজাপে লুকোচুরি। রোজ স্পাইক্যামের সঙ্গে হাতাহাতি। রয়ে গেলাম নীলনদ চোখের জুলেখাবিবি কোচিং সেন্টার এর ছাত্রী আমরণ। আমরণ দিয়ে মিথস্ক্রিয়া করার শুরু ও শেষ। স্পর্শমণিফুল  চলার পথে কারা খইছড়া দিয়ে রেখেছে। পর না ভাবার কিছু অপরক্রিয়া অনুষঙ্গ। শ্মশানসঙ্গিনীর দিকে অপাঙ্গে দৃষ্টিপাত বৃষ্টিতপস্যার তিলক কেটে দেয়।

 

পরপরমকীয়া


পাখিটাখিরা যা বলে ভুলে যাই। দাহ্যপদার্থরা ক্ষতি কি জিনিস জানে না। ঘুমন্ত শরীরকে বর্ণালী উত্তরমেরু করে দেয় জোরদার বুনোকুলগাছ।

সবকিছুই একদিন গলনাঙ্কে পৌঁছয় -- শহরের রাস্তাঘাট। নদীর নৌকায় লেগে থাকে মহাডেনিমস্পর্ধা । পাথুরে স্রোত চুলের। নুনের তেষ্টা গলা দিয়ে উঠে আসে। ফোঁটা ফোঁটা তাজমহল বৃষ্টি হয়। একে অন্যের বোড়ে ধূলিসাৎ করি। ভূমিকম্পের মাটি সারাগায়ে মাখামাখি। জলচক্র যুগযুগান্তের ঘর ধুয়ে দেয়। ঘরের ইকোসিস্টেম হিসেব কষে যায়। বিপন্ন ডাঙা ছেড়ে আপন্ন জলেই নেমেছি। ফলত কখনো বালিহাঁস কখনো হলুদব্যাঙ একপাল হায়নার চিৎকারটুকুর সঙ্গে লড়াই করে। ব্রেকাপবিজয় সেরে টিনের পুতুলরা অ্যালজোলামে কেন প্রশ্ন করা বৃথা। অচিন মালতীপুর ডুকরে ওঠে মহাভাবসম্মিলনে।

 

রেফকাঁটা


বর্ষা ও বসন্ত গায়েব হয়ে যায় একসময়। বুনো হাঁসের ঘুঙুর খোয়া যায়। আলোকিত ঘুমের ভিতর পালকযুদ্ধ চলে। যে পাতা ঝরে যাবে তাঁর কাঁপন বেশি। শহীদ পাতাদের প্রাকৃতিক হলুদ রঙ। তাদের গায়েহলুদ হয় না কখনো। ওরা এবং আমরা অপরিচিত ল্যাটিনের আলোয় কথামানবমানবী হয়ে যাই। দোলে যুগলবন্দী কবিতা। ঘরবেঘরে আকাশের এলোমেলো গোঙানি থাকে। আর থাকে ব্যঞ্জনবর্ণের রেফ সারি সারি। একে অপরকে একতারা আকাশধ্বনি উপহার দিয়ে পোলেনে পরাগে স্থিতু হই। একসঙ্গে ঘটে চলে ধূমাবতী সুমেধা শ্বেতভালুক ও কালোচিতার সহমরণ। চারদেয়ালে আঁকা ফরাসিরমণের ফ্রেস্কো। আবৃত্তিকার এসে দরজায় কড়া নাড়ে মাঝরাতে। যে কোনো হেঁটে যাওয়া মৃত্যুর অভিসার তকমা পায়। আকাশ পেরোলে ফোর্থ পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার উপাধি পাব।