বিতস্তা ঘোষাল
মায়া
হঠাৎ দেখা তোমার সাথে
অফিস বাড়ির আশি তলাতে
না,হাত ধরিনি,প্রেমেও হয়নি
তবু মুখোমুখি কিংবা পাশে
হঠাৎ হাসি, কিছু কবিতা
কিছু ভালো-লাগা
এমন তো হয় কতবারই
কত ইশারা, ডাক নির্জনে
তুমি তো ডাকোও নি ভুলে
তবু কেন রয়ে গেলে পাতা জুড়ে
এই লেখা
তাই তোমায় নিয়ে
থাক সেখানে তোমার হাসি,
থাক কিছু বিষাদ, কিছু অকপট
জীবন গাঁথা
বাকিটা তো সবই মায়া
আলো ছায়ায় নিরন্তর
ঢেউয়ের খেলা
ডুবব আমি ভাসব আমি
ভাবনাটা যে শুধুই আমার...
উপহার
রাত গভীর হলে কথা শুরু হয়
ভোর হওয়ার মুহূর্ত অবধি
এই একাকী কথকই
একমাত্র সঙ্গী
যদি কথা বলতে চাও একটা প্রদীপ এনো
যাতে আমি
বন্ধ জানলার
ফাঁক দিয়ে আমি তোমাকে দেখতে পাই।
অশরীরী শীৎকার
ছায়াহীন এক শরীর ঘুরে বেরায় এঘর থেকে ওঘর
তার নিঃশ্বাস, পায়ের শব্দ,
এমনকি নাভি থেকে ভেসে আসা গন্ধও চেনা।
অথচ মুখটা দেখতে পাই না
বার বার চাই তাকে স্পর্শ করতে
তার সঙ্গে গল্প করতে
চোখের দিকে তাকাতে
আমি চিৎকার করি-আমার কথা শুনতে পাচ্ছ?
আমাকে স্পর্শ করবে? বসবে পাশে এসে?
উত্তর আসে না।
কেবল হলুদ দেওয়াল আর নীল আলোর মধ্যে কাটাকুটি
চলে।
তার কায়াহীন শরীর সেখানেই স্বচ্ছন্দ।