অরুণ কুমার সরকার
পরকীয়া
৪৯৭ অবশেষে ইতিহাস
মহামান্য আদালত মান্যতা
দিয়েছেন বারান্দায়
দাঁড়াবার;
আমরা কৃষ্ণকে মানি
অথচ, শতাব্দী ছাড়িয়ে বিশ্ববণিকেরা
সেদিন
কী এক পাথর চেপে দিল বারান্দায়
ঝুলে থাকা হাজারো অতৃপ্ত
উরসে;
অন্তহীন যন্ত্রণা কুন্ডলী
পাকিয়ে পাকিয়ে অপমৃত্যু...
দীর্ঘ রক্তিম গোলামযুদ্ধে
কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আজ
উঠোনে উঠোনে
উদ্বৃত্ত ভালোবাসা নিশ্চিতে
ছিটিয়ে দেব
ওদিকের ঝুলবারান্দায়;
গুমোট ঘর ছেড়ে বারান্দায় আমার
চৌম্বকীয়
টান,
সেখানে টাটকা বাতাস...
রাতভর বৃষ্টি হোক;
আমি ভিজবো
ঘরের চাইতে বারান্দা আমার কাছে
অনেক ভালো...
নৈঃশব্দের প্রহর
তোমার বিলাসী বারান্দায় আমার
প্রতিক্ষার দু'চোখ
সকাল বিকেল গড়িয়ে গোধূলির
প্রান্ত সীমায়
কিংবা মিঠে শীতসকালের নিঝুম
আদরে
এলিয়ে পড়া শরীর
প্রস্তুত জলসায়...
বিকেলের এলোচুলে নরম ঠান্ডা
বাতাস
খেলে যায় আঁচল পর্যন্ত
আমার বুকে রঙিন সেতু বেঁয়ে
কেবল মেঘের ভ্রুকুটি
তোমার দৃষ্টিছোবলে ভাঙে
নৈঃশব্দের প্রহর...
আবাস
এখনও উঠোনে ফোটে ডালিমের ফুল
মাঙ্গলিক ঘোরাফেরা রঙিন ডানায়;
হয়তোবা পেতে চায় প্রদীপের আলো
তুলসী তলা
ডালিমের ছায়ায়।
এখনও রিংটোন সকাল বিকেল
খিল দিয়ে আটাঁ দরজায় পরিচিত
মুখ;
শিশিরভেজা ঘাসে লেগে আছে আদুরে
কথা
সূর্য ডুবে যায় বাদাম খোসায়।
এখনও সুগম চোখের কোলে মায়াঝরা
হাসি
রোদ্দুরে ভিজে ভিজে ওঠে নামে
দুধসাদা বক;
বৃষ্টিছাতায় পুষ্ট হয় দীর্ঘ
প্রেম
নিশ্চিত বাতাসে।
এখনও তো রাতের আকাশ নেভায়নি
আলো
লক্ষ তারা কিংবা জোছনায়
জ্বলজ্বলে মুখ;
নরম মাটির বুকে প্রস্তুত আমি
জোনাকির মতো
রাত ছেনে পৌঁছে যাব নিশ্চিত
আবাসে।