সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

 


জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়


সে নয়


সে পাহাড়ে ঘাই দেয় তরুণ হরিণ খরনদী ব্যবধান

প্রতিবেশী স্রোতে প্রাবল্য ছিঁড়ে জাগুয়ার খিদে

ভেঙে ফেলে স্তম্ভমূল জালের উত্তাপ ছলাৎছল জল

ঘুমের ভিতর শিস দেয় নক্ষত্রহীন রাতের কৃষ্ণবিষাদ

তুমি সেই খাদের সামনে দুপাশে পাহাড় রাখো উদাস

পশ্চিমঘাট তার কিছু জ্বালাটালা নেই পাহাড়ি প্রাইমেট

শরীর খুলে সাগর ডিঙোয় যদি মায়াডিঙার উড়াল

ওড়নার গল্পটি পাল হয়ে বুক থেকে পাটাতন খুলে

খাল হয় খলবল মাছ শ্রাবণবেলা থৈথৈ প্লাবনশুভ্রতা


হিসাবের পাতা পাক ভোগপদ আড়াল ও বাঁশির ভার

 

 

সংজ্ঞা বদল


শুনতে পাও বাঁশি কুঞ্জরানি গুঞ্জনডোর

ভোর আসে বিরহরাত পাখি ডাকে উদাস

ভৈরবী সরগমে কেন দুখরঞ্জনী অবরোহণ?


তাণ্ড্য ঋষির বেদ থেকে উঠে আসে সাম

অদ্ভুত সমে তবু বাঁশি যদি না বাজে তবে

জানালায় ঝুলিয়ে দাও স্বর্গোদ্যানের নীল

দি অরিজিনাল সিনের দৃশ্যপটে স্নায়ুবিদ্রোহ

সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে আপেল গাছ আর

সেই উত্তেজক ফল ওপারের ভুল থেকে

পুরাণ ও ইতিহাস ভূগোলের সীমা ভাঙে

বারবার ব্যর্থ আগল কিছুই রোখে না।


জীবনকাহিনির যত পরকীয়া উধাও

অদৃশ্য কালির করিশ্মা পাতাজোড়া

অনৃতির ক্রনিক সিনড্রোম গাণিতিক

বাড়ে ডিএনএ রেপ্লিকেশনের গ্রাসে

মুখের গল্প মুছে অতীত নামের বৃদ্ধ

জমকালো পোশাকে দাঁড়ায়

ভুল আলোর পাহাড় বৈধ-অবৈধের

সংজ্ঞা বদলে দেয়।

 

 

প্লাবনবেলা


প - বাবুর জুতোর পালিশে দুটি মাত্র মুখের বিম্ব।

হ্যান্ডসাম শব্দটিকে পূর্ণতা না দিলে পার্ক বা কফির ধোঁয়ায়

নেলপালিশ ফোটে না। সহচর টেবিলে গল্পের ঘুড়ি সীমানা পেরোয়

বারবার। অবৈধ শব্দটি তার উপসর্গ হারায় আর ঋণগ্রস্ত পকেটে

গোপন কান্না। কাল্পনিক বাক্যের স্রোতে শিকারী আত্মা

অন্ধকারে নিজেকে উন্মুক্ত করে প্রত্যঙ্গ বিছায়।

নদীর ওপারে নিপুণ হাত গুছিয়ে তোলে প্রতীক্ষার ফুলভার

মিলনের দৃশ্যপট।

বাজ ও বুনোপাখির রক্তগন্ধ রসায়ন জানে না সে।


ম - ম্যামের হেয়ার ড্রেসারের চশমাহীন চোখ প্রতিদিন ফেল

যোগ্যতামান। অস্পষ্ট মাঙ্গলিক শিকলের দাগ ইঙ্গিতে বোঝে

ড্রেসিং আয়না। জুঁইগন্ধ মাত্রা ছাড়ালে সে সবজান্তা হাসি

শিকল উধাও বন্দিনী বারবার অজান্তেই লাভলক সরিয়ে দেয় আবিষ্টহাত। অনর্গল ব্লুটুথ কথা ক্লান্ত হ্যান্ডসেট মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশনেও অবিশ্রাম বিরক্ত চোখেরা বোঝে অন্যমোহনার নদী মাত্রা জানে না।ভাসানিয়া ডাক উড়িয়ে দেয় লজ্জাবস্ত্রের তুচ্ছ বাধা আজ তার প্লাবনবেলা।