সুধাংশুরঞ্জন সাহা
ধ্বংসের ধারাপাত
(এক)
সকাল অবনত হলে দুপুর
হেসে ওঠে,
খিলখিল রোদের
নিরক্ষর মেলায়।
সমগ্র শিখেছে আজ
প্রতিটি বিকেল।
অক্ষরমানুষ মেতেছে
শস্যনামায়!
(দুই)
ধ্বংসস্তূপের ভিতর
লুপ্তপ্রায়
নদী ও অরণ্য।
তবু, উন্নয়নের চমক
চারিদিকে।
জন্মও এক সহজাত
মায়ার খেলা।
মৃত্যু আজ
জীবাণুমুখর!
(তিন)
আদিমতা চেনে না
সভ্যতা।
মানে না বিজ্ঞান।
চরাচর জুড়ে শুধু
খিদের ইস্তেহার।
খিদে চেনে শিকারীর
হত্যালীলা,
আর ধারালো চোখের
বর্ণমালা।
(চার)
মুখোশের দাম্পত্য
শিখে নিয়েছে
মেঘ ও রামধনুর খেলা।
নিষেধের দেয়াল টপকে
নিশাচর অন্ধকার
খোঁজে
আদিমতা, সভ্যতার অনাদর।
দুচোখে তার আগুনের
লালসা।
(পাঁচ)
নতজানু প্রকৃতিও
জানে
ধ্বংসের প্রকৃত
ধারাপাত।
চাঁদের পথে পা
বাড়ানো অস্তিত্ব,
চিবিয়ে চিবিয়ে
খায় রাত্রির নিরপেক্ষতা।
দিশেহারা মানুষ
খোঁজে থাবার ইতিকথা।