বিশ্বজিৎ মণ্ডল
ডুবস্নান
অনভ্যাসে ভেঙেছি, ভগ্ন স্মৃতির সোপান
পর্যটকের তর্জনীতে
আজও তোমাকে ডেকেছি__
ভুল
রাস্তায়
কখনও গন্তব্য এঁকে
বলোনি,আমাদের প্রাক্তন
অনেক কিছু মুছে গেছে
মধ্যদুপুরের রোদে
কেবল প্রবঞ্চক আমি,নাটাতলায়
দাঁঁড়িয়ে লিখেছি
এইসব প্রলোভন......
যৌতুক
কথা ছিল, এইসব জল ডিঙিয়ে লিখে
যাব
দুর্বোধ্য কবিতা
নিয়ম মেনে সাজালাম
বিস্তীর্ণ ইজেল....
কোথায় কবিতা?
পৃষ্ঠা জুড়ে হু হু
বেড়ে ওঠে,
তাকলামাকানের
দীর্ঘ
কৃষ্ণ-গহ্বর
কৃপণতা ছেড়ে এইবার
লিখে ফেলি,
আমাকে
তুলে দেওয়া সিফিলিস
যন্ত্রণার কথা
শঙ্খলাগা
আর্তনাদ
করুণ
মাঠটাও বড় বেশি পরদেশি হয়ে ওঠে_____
শতাব্দীর
শেষ গোষ্ঠে বসে সেভাবেই অর্গান আঁকে
প্রাচীন
কোনো রাখাল....
অযাচিত
হলেও এখানেই কেউ কথা এঁকেছিল____
অস্ফূট উপবন
যার জন্য
সাজিয়ে রেখেছি______নিরাময়
আদৌ সে
জানে না,আমাদের
এইসব বৃন্দাবনি কথা
ভুলে থাকি,কনিষ্ঠ
সেই ঈশ্বরের কথা
যে একদিন
অভিমানের যুযুধান সাজিয়ে চলে গেছে
অগভীর
সমুদ্রের দিকে
আমরা কেবল
শঙ্খলাগা আর্তনাদে মাপতে থাকি____
তাঁর
অস্থির সমুদ্র মন্থন