সুবীর ঘোষ
স্বাধিকার
এখান থেকে চল যাই।
এ রেস্তোরাঁয় খাবার নেই।
যে আকাশে নীল নেই সেদিকে তাকিও
না ।
হরিণকেও বল সে যেন লাফ মারা না
ছাড়ে।
ময়ূরকে বল তার একটা পাখাও যেন
ড্রইংরুমে না আসে।
বীণে কী ভোলে সাপ ?
তা হলে মানুষের সাপ কীসে ?
দেশে কী ছেলেভুলোনো ছড়ার খুব
অভাব
যে তার জন্যে ভোট দিতে হবে !
ফেউ
অনেকগুলো পুরোনো পাথরের
পোস্টাপিস পেরিয়ে
এক ঘুমভাঙা নদী
নদীর দুই হাতে সময় ভেঙে স্নান
করে ওঠার
সাজসজ্জা।
রোদ বাড়তে বাড়তে মহিমায় বৃদ্ধ
গুবাক গাছের ওপারে শ্মশান
যার অন্ত্যোদয় বহ্ন্যুৎসবের শেষ
নেই।
আদিতে যারা ম্যামথ ছিল
তারাই ঘুরে ফিরে লজিকগ্রামের
সাইকেল
মুখ থুবড়ে পড়েছে গাছনিবিষ্ট
বণিক
রুক্ষ সূক্ষ্ম মুখে
জল্পনাকল্পনার ফেউ।
পথ ভূয়োদর্শী
পেয়াদা
কোটাল এল। খানাতল্লাশ হল। সীতাহার বেরুল না। পাতালপ্রবেশই হল
বোধহয়। নইলে শূন্যে ডানা মেলে...। ভোজ হল। কাজ হল। আলুবখরার চাটনি তার
আগে পোস্তর বড়া। বালির সাঁকোতে লাফ দিল ওস্তাদ। মাথায় ফেট্টি। একসের চালের ভাত
খেত যৌবনে। কাপাসের খোলা ফেটে তুলো উড়ছে। তুলো প্রায় শেষ। নিমবেগুনের দিনও
গেছে। গাছ জুড়ে নিমফল। ঢালিদের মেয়েটা ধেই ধেই
নাচাচ্ছে ঊঠোন। নাচতে না জানলেও উঠোন ব্যাঁকা নয়। ট্যাঁরা চোখে তাকায়
দোকানি। ছোট এক টাকার কয়েন চলবে না। পা বাড়াই পথে। পথ ভূয়োদর্শী। এ বছর খুব ঝড়জল। বজ্রপাত। রাস্তার খানাখন্দে
জল জমেছে। পা ভেঙেছে চোর ডাকাত রাক্ষসের।
প্রতিপক্ষ
তোমার শরীর যেন কবে থেকে
মহাঘোর ফিল্মসিটি হয়ে গেছে !
এক দেহে লীন হয়ে আছে দুর্গ
চৈত্য নদী হাট কুষ্ঠতলা।
মন্দিরের সন্ধ্যা থেকে ক্ষয়ে
আসা পলাতক ঘোড়া
অপহরণের লজ্জা থেকে
বিবাহসিন্দূর
সহ্য করে সহ্য করে পাহাড় হয়েছ।
তোমার শরীর যেন কবে থেকে
আমার থালার মাঝে পারিজাত হয়ে
স্বর্গলোক থেকে যত ছদ্মবেশী
দৈত্যদের
আমার রণাঙ্গনে প্রতিপক্ষ বানায়।
সায়োনারা
ভালোবাসা সা
সাত সমুদ্রের জল মমি
রোদ বয় না না
নারদ ছেড়েছে কাঠিবাজি
ধুম কমলা হৃৎপিন্ড রঙে জড়ানো
কমলা হয়ে গেল লা কমলা
বোদলেয়ারের কবিতা --লা
অ্যালবাট্রস
শত্রু না কী আড়াল থেকে যুদ্ধ
করে
প্রেমিক সারা রাত কেন কখনোই
ঘুমোয় না
প্রেমিকও আদতে সেনানী
ঘাম ফেলার মতো মাটিও নেই
শহরে রে
রে পাগলা ও সব
ছাড়্
এক টুকরো পৃথিবী এক বুক হাওয়া
রমণআগুনের খাট
এ সব ছাড়্ ওপারে যাই চল্
সায়োনারা অন্তেবাসী এলোকেশী