শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

গৌতম কুমার গুপ্ত


গৌতম কুমার গুপ্ত

সম্ভাবনা

একটা সম্ভাবনা লিখতে লিখতে
মন-উড়ুক্কু-পাখি ও চারাগাছ লিখে ফেললাম

দূরের বাতাস বেজে চলেছে লয়ে
আমার ভেতর এক উদ্দীপনা জাগছে মুহূর্তে
উৎসাহ নিয়ে কখনো আলস্য আসে নি
যদিও থমকে গেছে সংগ্রহ বৈভব

কিভাবে নৈপুণ্য ফোটে জানি না
জড়ো করেছি আগুন আতরবাস ঠোঁটের
আদর -মাখন স্নেহার্দ্র -তরল বিষণ্ণ -বাদামী- খড়

হাতে তুলি নেই রঙের প্রাচুর্য চোখে আছে
তাই দিয়ে দক্ষতা লিখি বুঝদার চিত্রালি
তুমি তাই পয়স্বিনী এবং অধরামাধুরী বটে

বিরল সম্ভাবনা জেগে থাকে পলে পলে এবং
প্রতি মিনিটের কালক্ষেপে
পুনশ্চ উপসংহার পিছিয়ে যেতে থাকে
সম্ভবনার নৈপুণ্যে যদি একটি গোলাপ ফোটে







সহন

অলৌকিকে পৌঁছে গেছে সহন
এসব আর ভাবায় না জানো
নিজের ভেতর জন্ম কখনো মেঘসন্ধ্যার
বৃষ্টি আনি কখনো রাতজোনাকির
ভিজতে থাকি বেলা অবেলায়
নোংরা এবং পরিচ্ছন্নে
        সহনশীলের সগৌরবে

নিত্য কেবল তাপ উত্তাপে
শরীর থেকে বাকল খুলে ওড়াই
জয়বিজয়ের পথে পথে বিজয়কেতন ওড়ে
কখনো পরাজয়ের মুচকি হাসি ফোটে
আর্তস্বরের চিৎকারে নিভিয়ে দিই
       সব বিলাপ

নিজের পথেই আবিষ্কারের স্বরূপ দেখি
খুলতে থাকে অজানা এক গহীন
ভালবাসার শুদ্ধ বানান মুখস্থ করি মনে
জড়ো করি আবর্জনা এ যাবৎ সব পাওয়া
ভাসিয়ে দিই স্বচ্ছ জলের
   রক্তফোঁটায়

আরোগ্য আবার আপন হয়ে
      সুরভি দেয় নিভৃতে







হা ডু ডু

বাইরে বেরোতেই দু এক পশলা পাপ ছুটে এলো
মা বাপ তুলে গালাগাল দিচ্ছে পরস্পর
ঠকিয়ে নিচ্ছে মাছের দাম আর ওজন
হলুদ আমের পশরায় সোনালী মাছি উড়ছে

কেউ পাঁচ হাজারী রঙীন থুতু ছড়াল ইচ্ছেমত
জন্মজয়ন্তীর মুখে
মিছিলে পাপঘ্ন পায়ের শব্দে বাকরুদ্ধ হল কথা

আমরা কেউ কারো মুখ দেখলাম না
ভালোমানুষী মুখোশে এড়িয়ে গেলাম
ব্যস্ত হলাম জলবায়ুর উষ্ণতায়
চেনা মুখে অচেনা কথার ঘেরাটোপে চুপ রইলাম

ওদিকে রাস্তা বাড়িয়ে নিচ্ছে ইচ্ছেমতো
পদক্ষেপ রাখার জায়গা কমে আসছে ক্রমশঃ
বৃক্ষহীন উপচ্ছায়া বেড়ে চলেছে শহর জুড়ে

বাড়ি ফিরে এসে ধূসর মুখ ধুয়ে ফেললাম
কৃতবিদ্য সাবানের ব্যক্তিগত ফেনায়
তারপর.......
দৈবমুখ ভান করে বসে রইলাম সোফায়

হাতের তালুতে অশ্রুপাত রক্তপাতের উল্কি
কত কি লেখা রইল ছেঁড়া কাগজের মতো দৈনিকে........