মঞ্জিমা গাঙ্গুলী
গোপ
নরমতম সবুজ
পিপাসার্ত ধুনুচির
বুকে মাটি জলে আর বীজে
গাছ বুনেছি।
ফুলের ঘ্রাণ
ঘ্রাণের জল
জলের ডুব
মেখে মেখে মেয়ে গেছে
মকাইঝোড়
বাগানে বিলাস, বিলাসী ভাগাভাগি
তোর না মোর, মোর না তোর
বিষণ্ণতার আলো ফোটার
আগেই বলেছি
রইলাম।
ঝুপঝুপ ভিজিয়ে খড়
চুঁইয়ে চুঁইয়ে
বৃষ্টি এসেছিল
রঙচায়ের গ্লাসে
শালতলে পালতোলা দুটো
বুক
বুকের মধ্যে উত্তর
জমা দিবি
কে দেবে ?
যে চলে যায় বসতবাটির
দক্ষিণে
সে নরমতম সবুজ
কোণটাতে পাথরকুচি গাছ হয়ে যায়।
বকুল তুমি কবুল করো
দুখ
এক একটা গাছেদের
পিছনে ছায়া হয়ে যায়
কী সব নামের মন
মনকেমনে কমপক্ষে এক
দুই তিন
পক্ষকালে শীতলক্ষ্যা
নদীর পানি
ও নির্মিতি বোধ
কোথায় ছিলে চিলেকোঠা
কোথায় থাকো মগ্ন
মগডাল
ছৌনাচানো সারি সারি
সারাবেলা পুষ্করিণী
ছাপ রেখে যাও কোন
অতলে
অ্যাডেনিয়াম ফুটছে
দ্যাখো বিফল বিফল অভিশাপে
আসুক আবার সেই
কবেতেই যাকে তুমি ছেড়েছিলে
হিমালয়ের পাথর জানে
আগাম তোমার অস্তিত্ব
বকুল এবার কবুল করে
নিও
যে যে জানে
যে যে বোঝে
নিষ্কলঙ্ক দুখ।
টুকরো হয়ে মিশে আছে
বারান্দায় দাঁড়িয়ে
দু চোখ ভরে গেলে
দুটো পাখি মাটির
হাঁড়ির দিকে দ্যাখে
এই এতটা আকাশে ওদের
ওড়া হোলো না।
বন্দী থাকবে
শাবকগুলিও
দুটো পাখি ইচ্ছে করে
বসে থাকে
হা হা করে হেসে
ঈশ্বরের চোখে তাকায়
বলে, আমাকে জানাও তোমরা
ব্যক্তিগত
কিংবা নৈর্ব্যক্তিক
ছল বা বল
আশ্চর্যভাবেই নেই পাখিদুটির
ওরা কেবল উড়তে জানে
আর পারে নি কিছুই।