শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

অরণ্য



অরণ্য

বনমোরগ

তুমিও কি এমন ফুল ফেলে দিয়ে
ধুয়ে নেবে হাতের ক্ষীণ রেখা
চির-স্থির কুয়াশার জলে
এত যে নিঃসংশয় ফিরে আসো তীরে
নিজেকে মনে হয় উন্মুক্ত খাঁচা
ভুলে যাই কোন পথ দিয়ে গেলে
মৃত ফুল উঠবে বেঁচে মৃতের শরীরে
                
প্রতিদিন ফেরিওয়ালা চলে গেলে
কিছু ধ্বনি বর্ণমালার মতো
হুটহাট ঢুকে পড়ে মাছের জীবনে

এ কেমন ফ্যাকাশে আকাশ পাখির পৃথিবীতে
এ কেমন শুদ্ধ বাতাস বিষাক্ত শরীরে 
নিজের কাছে আটকে পড়া বহুবিধ ছায়া
আমূল কাতর হয় মোরগ অসুখে
স্বাস্থ্যহীন ফুলের সংলাপে

আহা, তুমিও ফিরে এসো রোদে, বিদ্যুতে
একটি মৃত হাত এঁকে দিই তোমার কপালে
লাল ঝুটি হারালে রং ছায়ার বহুরূপে
আমাকে ভেবে নিয়ো মাংসপিন্ড থেকে দূরে
ছুটছি উর্ধ্বশ্বাস শিকারীর ভয়ে
স্বাস্থ্যবান মোরগের রুগ্ন শরীরে







পিঁপড়া হত্যার পর

এ কেমন মাংস টুকরো ছড়িয়ে চারিদিকে
পথ নয়, ঘ্রাণ থেকে সরে গিয়ে
হঠাৎ মনে হয় বৃষ্টি হয়েছিল কাল
দিন অথবা রাত —উভয় আবেশে

অথযা তোমাকেও খুন করে
ফুলের দোকানে এসে কত যত্ন সহকারে
শরীর সাজাবে এমন কোন ফুল
বেছে বেছে রাখি পাশের কুঠুরীতে

ছায়াও ফিকে হয় এই দিকে এসে
স্বস্তি আসে যদি ভাবি মোহর বিদ্যা দিয়ে
সীমানার ওপারে আটকে থাকা পিঁপড়ার আয়ু
খুঁজে পাবে সেই সব আলো-কণা
হঠাৎ উপচে পড়েছিল পাত্রের পাশে

আমাকেও আসতে দাও আরেকটু নিচে
রোজ যে বাঁচি গভীর অগভীরে
যদি বলো এমন হয়েছি আমি মাংস খেয়ে খেয়ে
তবে জেনো, তুমি নও শুধু, আমিও অধিক
মাঝে মাঝেই চমকে উঠি, ঘুমন্ত কুকুর দেখে









অজগর—একটি ফুল

হয়ত বা এখানেই ছিল
নতুবা ছিল কোনো মরে যাওয়া ফুলে
মাঝে মাঝে এভাবে বৃষ্টি হলে
নম্র যে বাতাস ছুঁয়ে যায় বিকেলের শেষ আলো
সে জানে কিভাবে শ্বাস নিতে নিতে
অনায়াস মরে যায় প্রিয় কবুতর

আমাকে কে দেবে আকার এতদূর এসে
নিজেকে ছোব আজ কোন হাত দিয়ে
প্রশ্ন শেষে হয়ে উঠি নিষ্ঠুর ক্রমাগত
যদি বলি এভাবে যায় না ছোয়া হৃদয়ের আলো
কেন জানি আরেকটু এগিয়ে এসে
নিবিষ্ঠ ছায়াও হয়ে ওঠে বিষধর সাপ

এ রক্ত কাকে চেনে কোন রূপে
এ আলো কীভাবে ফেরে পথ চিনে চিনে
যে পৃথিবীতে তুমিও বাঁচো তোমারই রূপে
সে পৃথিবীতে আমি কেন অজগর সাপ