শ্রাবণী সিংহ
সীমাবদ্ধতা
নদীর পলি যখন নামে
প্রতিটি ঢেউ তখন তার
অন্তরায়
দৃশ্যটি হয়তো পাললিক, মনছোঁয়া
তবে
কিছুটা ক্ষেত্রে
জীবনের সীমাবদ্ধতাগুলোও ...
অশৌচকালীন নিয়ম পালন
চলছে নিয়নে
নশ্বর লোকালয়ে
খুলে খুলে দেখি
যাবতীয় স্মৃতির পাতা,
স্বাদ-বিস্বাদ দুটোই
হাতড়াই,নুনের নকশা গালে যেন
অভাগা চর পড়ে আছে
চন্দ্রভাগার
সমুদ্রে যাওয়াও বারণ
পুরনো পৃথিবীটা আমার
বসে থাকি জানলা থেকে
কিছুটা আড়ালে..
উইন্ডচাইমের শব্দটা
জলতরঙ্গের মত ঢুকে
পড়ে অহেতুক আয়নায়
এই হ্যাং ওভারের
মাঝেও
একটা বৃষ্টি-উন্মুখ
জ্বরো রোগীর মত কল্পনা বারবার...
একটা বৃষ্টি এসে
শান্ত ঘুম পাড়িয়ে দিক
ঘুম শেষে জেগে উঠলেই
যেন পেয়ে যাই
সেই পুরনো পৃথিবীটা
তোমার আমার
সমকালীন
যে জীবন আটকে আছে
সমকালীন তরজায়...
যাযাবরী বৃষ্টিদানার
সাথে কি যেন তুক্ আছে বিকেলের-
অতীতের ভালোথাকাগুলো
বর্তমানে এসে ফুল
ফোটায়
একটি মিশ্র দিনের
হিসাব,
অনুভূতি-দ্বন্দ,পরিতাপ
সব মিলিয়ে
আর একটি সৌরকাল
ঘোষণা
কালান্তরে
তবু একা বালিহাঁসের
মত
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ
নিঝুমে...
কোনো মিলিত উৎসবে
নয়।