চম্পা ভট্টাচার্য্য
বোধোদয়
এক ছাল ছাড়ানো
বৃক্ষের সহনশীলতা
গরলের নীল নিয়ে আকাশ
ছোঁয়া আজও
শার্ক পাখির আঘাতে
প্রবাহিত রুধির
ভেসে গেছে আজ কোন
গোপন প্রোকোষ্ঠ।
পঁয়ত্রিশের চুম্বনে
ষোল বছরের শিহরণ
ফাগুন বাতাসে উড়ে
গেলে সব
সাগরের ঢেউয়ের মতো ফিরে
আসে
বারবার, আঘাতে উদ্বেল তটভূমি
।
সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে
বুঝি বোধোদয়
সব মুছে দিতে হয়
ক্ষমাসুন্দর মনে,
তাই তো আজও দাঁড়িয়ে
শাল প্রাংশু
আকাশ ছুঁয়ে
সূর্য্যের আতপ মুখে ধরে ॥
পোড়া সোনার খোঁজে
ভাঙা আয়নায় টুকরো
টুকরো
এক থেকে দুই, বহু বহু ছবি
জমাট বাঁধা
অন্ধকারের মিছিল
পাকদণ্ডি বেয়ে উঠে
যাচ্ছে,
শবেদের কান্নায়
পিছল পথ -
শক্ত কঠিন চোয়াল,প্রতিদ্বন্দী
বিপন্ন সময়ের উত্তাল
ঢেউ ।
কতগুলো আহ্নিক গতি
পেরিয়ে
স্পর্শ পাবে এক
আঁজলা পোড়া সোনার ॥
সবটাই রাসায়নিক
অন্ধকারের সাথে সহবাসে
শরীরে মাটির আস্তরণ।
ফোঁটা ফোঁটা স্ফটিক
দানা -
' বুক পেতে চাতক হয়ে
যাই
ভিজবো বলে।
জলন্ত অঙ্গারে
ধমনীতে লাভাস্রোত
ভেঙে ভেঙে যায়
ভ্রূণের সরণি,
সবটাই রাসায়নিক, বিষজল -
ফর্মুলায় তৈরী, দুটো হাইড্রোজেন,
অক্সিজেন ব্রাত্য ॥