বৈদূর্য্য সরকার
যাত্রা
ফটো বাঁধিয়ে আসার
আগে বাটোয়ারা শুরু হয়
'নিকট কি দূর' আত্মীয়েরা খোঁজ করে
পাসবুক,
আইনের মারপ্যাঁচ কার
ভাগে কত চলে যায়
হিসেব জানে না
অমুকবাবুর আত্মা...
ক্ষুধাহীনতার ওপার
থেকে সে হাত বাড়িয়ে নেয়
চাল কলা মধু ঘৃত
তিলে মাখা ল্যাদল্যাদে পিণ্ড
অশিক্ষিত বাউনের 'মধুবাতা ঋতায়তে' শুনে
কার দেহ ঠাণ্ডা
হয়... সে হদিস রাখিনি আমরা !
পরম্পরা
মধ্যত্রিশ এমন
বিপজ্জনক এক ভাঙা বাড়ি
নির্ভয়ে যেখানে
সংসার করতে হয়,
যাবতীয় আশা ফুরনোর
পর পথে এসে দাঁড়িয়েছি
রোগ ভয় চাহিদা
অপ্রাপ্তি নিয়ে বাজার ঘুরছি
মৃত পিতার নিত্য
অভ্যেস বাজারের থলি হাতে ।
মুদির দোকানে চেনা
ছিল, এখন মাছ ও সব্জি
ক্রমে গোছাতে হয়েছে
– দৈনন্দিন হিসেবের খাতা...
পদ্য মাথায় উঠেছে, সখ সৌখিনতা বিসর্জন
জমাখরচ হিসেব
নিত্যদেনা জ্বলন্ত উনুন
সবকিছুর মধ্যে
দাঁড়িয়ে... লিখে যাচ্ছি দিনলিপি ।
মন্থরতা
টিপটিপ বৃষ্টি
ছাতাছাড়া কার হাত ছুঁয়ে চলি
হেমন্ত আসে হাজার
মোহে, ওড়নায় ফুটে ওঠে
অতীতের আলোছায়া...
যাকে ছুঁয়ে দেখি
বালকের কৌতূহলে, ধারণ করেছি জীবনের
পথে...
দু’চারটে ডিগ্রি
গঞ্জনা চাকরি ব্যর্থতার পরিসীমা
হুল্লোড় থেকে
সান্ধ্য বিলাসে সঞ্চয়ের পাত্র ভরে
অবসরের বৃষ্টির মতো
ঝরে গেছে অবসর ।
বারান্দায় বসে
দার্জিলিং টি’র সুবাসে মিশে দাম্পত্য কলহ
দড়িতে আধ শুকনো
কাপড়ে জড়িয়ে আছে আগামীর মায়া ।
দূর থেকে দেখতে
চেয়েও জড়িয়েছে ঝামেলায়
হারমোনিয়ামে বেজে
ওঠে কাতর হেমন্ত গান ।