দেবযানী
বসু
ঘরকন্না
প্রতিবার
নগ্ন হয়ে যাই কবিতা গড়ার সময়। কুমোরটুলির রঙতুলিতে শূন্যের স্থানটুকু কম পড়ে
যায়। শরীর ভরাট করতে করতে তুলি ক্লান্ত। সমস্যা মুখে নিয়ে দৌড়ই। সাইকেল লাফিয়ে
ওঠে। ব্রেক ছিনিমিনি খেলে খানিক আদর রান্না করে। বুকের ঘামে চিঁড়ে ভেজানো গন্ধ।
রাত
খুশবুবতী হলে বিড়ালের চোখে ধরা পড়ে। সোমলতা সোনারঙ ঝিঁকিয়ে তোলে। আলোর ভাষা তেল
পিছলানো পথে হাঁটা দিয়েছে। না ভাজা খই ঝরঝর ঝরে গেলে পোশাক ছুঁড়ে দিচ্ছি তোমার
দিকে। তোমার মোগ্যাম্ব খুশবন্ত।
তলকুঠুরিতে
জাগ্ৰত কন্দ
জলের
উদ্গারকে সমীহ করি। হঠাৎ করে লবঙ্গলতিকা হয়ে যায়। পয়সার কোনা থাকলে হারাতো
কম।যুক্তিপ্রসাদদের ইচ্ছেমতো পাগল উবাচ
বলে একটা লাইন রাখি কবিতায়। একলা মানুষটি হারিয়ে গেলে হাজার রঙা মেঘ পাল তুলে
দেয়। মহান গাছের বেদি স্বাক্ষী রয়ে গেল পাঁশুটে শেয়ালের গল্পকার আর শেয়াল শেষ
পর্যন্ত হাতে হাত মিলিয়ে হাঁটতে পারে নি। আদিম কালের কাঠের দরজাটা আড়মোড়া ভেঙে
বন্ধ হয়ে গেল কানফাটানো চোখের সামনে। ছোটগল্পের ছোটো ছোটো পা বোকামি খুঁজতে
বেরিয়েছে। সাহায্য চাই।
ইবোনির
ছেলেপুলে
ছুঁচ
ফুটিয়ে দেখছি মেলে দেওয়া শাড়িতে অভিমান কতোটা জমেছে। দিন থেমে যাবার ফলে
আঁশশ্যাওড়ার কলকব্জায় শাসনের জং। পরির পোশাকের খোঁজে যে বেরিয়েছিল ফিরে এল এক
মাথা ঝুপসি পায়রাকাঁটা নিয়ে। এ বছর অপেক্ষার বরফস্তর ভেদ করে কিছু রামধনু বেঙাচি
খেলা খেলছে। আমাদের চাল ডাল শস্য লিলিপুটেরা এ নিয়ম ও নিয়মে ফেলে দেখছে আত্মা
জমাট বেঁধে গেলে বরফের চাইতে শক্ত হবে কিনা। আমাদের যৌনতাকে হারাতে কারা যেন উঠে
পড়ে লেগেছে। ধামাচাপা রাতে ইবোনির ছেলেপুলেরা সিঁড়ি ঘরে ঝমঝম বেজে ওঠে সোলা ষোলা
টিডোয়।