শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

শাহানারা ঝরনা


শাহানারা ঝরনা 

শুদ্ধিতা পায়

বিষাদ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম স্বপ্নভেজা দুপুর
হঠাৎ দূরে বাজলো কোথায় রিনিকঝিনিক নূপুর!
মনে কথার বৃষ্টি এলো গেলাম আহা ভিজে
ওই ওখানে- জলসা কিসের!  ডিসকো নাকি ডিজে?
ঝাপসা হলো মধ্যবেলা সঙ্গতিহীন রাতও
আদর করে বললো না কেউ হাত দু"খানি পাতো
চুপিসারে হাসলো মিটি তুলোট মেঘারানি
মনবাঁশিতে হাত রেখে কেউ  পাতলো আসনখানি
অহংকারী পায়রাগুলো নাচলো হেলেদুলে
রাজার-রাজা মন হারালো ভিনদেশী মউ-ফুলে।
ফুলকে চিনে সঠিক নামে ডাকে বা কয়জনা
কৃষ্ণ ছাড়াও বৃন্দাবনে হাসে  দিগঙ্গনা   
মেঘ-হৃদয়ের ভেতর বাহির ইচ্ছে ষোলোআনা
মনবাড়িতে অবাক পোড়ে স্বপ্ন মিহিদানা।
সবুজ পাতায় হলুদফুলে বর্ণপূজো চলে
দেবারতির ভজনসাধন কেউ করে কৌশলে
আঙুররঙা সময়টা যায় বানিজ্যে ভিনদেশে
কে হারালো কন্যা-নোলক !  মুগ্ধ দিনের শেষে?
বাজলো হঠাৎ বিষেরবাঁশি  মৌন হলো নদী
মুক্তো দিয়ে গাঁথা মালায় চললো তোষামোদি
যাঁর কিছু নেই এই বাজারে সেই তো মহা বোকা
সুযোগ পেলেই স্বজন সুজন দেয় নিয়ত ধোঁকা
গড়মিলে সব কাজের মাঝেই থাকলে নিয়ম কড়া
শুদ্ধিতা পায় পুষ্পজীবী  হৃদয়  বসুন্ধরা   !! 






নিয়মসূচির ভেতর

কখনো সুতন্বীর মায়ামোহে গাঁথি
পয়মন্ত শব্দাবলী    
শস্যদানা আঁকিবুঁকি নিয়ে চলে বৈভবী সমারোহ
গ্লোবাল নিয়মসূচির ভেতর হেরিটেজ কর্মশালার
পূনর্বিন্যাস হয়, উদয়াস্ত নিগৃহীত কোন শ্রমজীবী মানুষ,
ভাগ্যকে বয়ন করে হীনমন্যতার সুতোয়।
একসময় তাঁর নিজস্ব মতবাদ কালের অতলে
হারিয়ে যায়
পতনমুখী মানুষ তাঁর কন্ঠলিপিকার ভাষা বোঝে না । 







বস্তুতঃ যাঁরা

অবিশ্বাসের স্টক এক্সচেঞ্জে এখন
ঋণপত্রের খতিয়ান, বেদখল হয়ে গেছে
মননশীলতার বনেদি রীতি।
গৌরী বিদ্বেষ নিয়ে কেউ চলে যায় তেপান্তরে
কেউ কারো চোখে জ্বালে বুনো জিঘাংসার চিতা
বস্তুতঃ যাঁরা চিরজীবী জীবনের গল্প বলে
তাঁদের কাছে সবই সুখপাঠ্য মনে হয়
তাঁরাই দেয় সৃজনশীল সুখ্যাতির হাতেখড়ি,
মান্যতায় সমন্বয় করে আগামীর রূপরেখা।