মানিক বৈরাগী
শান্তি আসেনা
বোবা দেয়ালে পোস্টার
হয়ে লেগে থাকি
দ্রুতলয়ে হেটে যায়
মিছিল রাজপথে
সমস্বরে শ্লোগান
ধ্বনিত হয় বজ্রকন্ঠে।
শ্বাস প্রশ্বাসের
জলাভুমিতে ফুটেনা পদ্মলোচন
শীতল হাওয়ারাও দোলা
দেয় সুন্দরি ফেনাফুলে
পরিত্যক্ত ঘোষিত
করেছি যাদের
সেখানে কেউ কেউ ছুঠে
মুত্রঘ্রাণ পেতে।
গোবরা পোকারা ও আসে
তামাকের ক্ষেতে
পরাগায়ন প্রজনন
মৌসুমে কিট-পতঙ্গ ছুটে
ফেনাফুলের নিষিক্ত
মধুরেণু চুষে উড়াউড়ি করে
বিষাক্ত জনন
প্রজননের জালবিস্তার করে বিশ্বায়নের
তুবুও মিছিল হয়
মিছিল আসে,শান্তি আসেনা।
হীরক পদ্ম
কুহকি
পান করো প্রস্ফুটিত বেদনার যারক রস।
নীলাভ
স্রোতে বয়ে যায় কুহেলিয়া,
সেই
স্রোতের উউজ্জল পদ্মটি
ছল ও
ছলের জালে ভাসে আর জ্বলে।
রইলোনা
তার স্বাধীন স্বকীয়তা
রুপ ও
রূপের রুশ্নাই তার কাল হলো।
জাল ও
জলে জ্বলতে জ্বলতে
পিঙ্গল
রুপটি তাকে আর জলে থাকথে দিলোনা।
একদিন
চারদিকে বড় বড় রশির জাল
ও লোহার
খাচা ফেলা হলো অথৈ জলে।
বিস্তির্ণ
জলরাশি কে ভাগ ভাগ করে ঘেরা হলো।
পদ্মটি
পানকৌড়ির মতো ডুব দিলো অতলে।
একদিন
কুহেলিয়ার মোহনায়
মাছযন্ত্র
নেমে এলো সমুদ্র তলে,
ওরা
তন্নতন্ন করে তীব্র টর্সের আলো ফেলে
শামুক
ঝিনুক কোরাল সবখানে খোড়াখুড়ি শুরু করলো।
সমুদ্র
তলের বুকচিরে তোলা হলো
উজ্জ্বল
পোড়া কলিজা।
কলিজার
আলোকরঞ্জন বেদনায়
মানুষের
কি বিভৎস উৎসব।
মানুষ
বুঝলো না পদ্মরুশ্নির আলোয়,
তারা
সমুদ্র পারাপার করে।
রোদের ভিড়ে একা
ভোরের কুসুম রোদ ও
আজ কাল তাপদাহ ছড়ায়
বিজ্ঞান বলে জল
বায়ু পরিবর্তনের কুফল,মানুষ করেছে।
প্রচন্ড রোদের ভিড়ে
তবুও একা চলা মন কোট পরেও ঘামেনা
রোদের তাপে নয়, মনের তাপে স্বপ্ন
বিহনে জ্বলে জ্বলি জ্বলনে
মানুষ
পোড়াবে আমায় বিরহ পুরাণে।
অশ্লীল মনোঝড় না হলে
শ্লিল শেখাও কোন সখে সখা?
প্রচন্ড রোদের ভিড়ে
একা একা।
জলজট মনোঝড়ে করো
ছটফট কার বিহনে?
কোন কারনে এমন বেশ
নিলে?
মানুষের কারনে।
প্রচন্ড রোদের ভিড়ে
জনজটে তবুও নি;সঙ্গতা
পাহারা চৌকিতে
নির্ঘুম চোখে পাহারা বিলাপ
।মানুষের প্রয়োজনে