স্বপন গায়েন
মেরুদণ্ডহীন
পিয়ানোর
টুংটাং শব্দটা
বড়ই মধুর লাগে
জীবনটা
যদি এমনই মধুর
হতো -
ভাবতে
ভাবতে হারিয়ে যাই গহীন
অন্ধকারে।
দুঃখের
চোরা স্রোত
টানতে টানতে নামিয়ে আনে কঠিন বাঁকে
জুয়া
খেলার মত জীবনটাকে
ধরেছি বাজি -
যদি একবার
অন্ততঃ ঘুরে
দাঁড়াতে পারি।
বিষণ্ণ
রোদে পুড়ে
যাচ্ছে হৃদপিন্ড -
সংসারী
মানুষ সুখ
খোঁজে চিরকাল
তারপর
একটা সময় পিঠের
মেরুদণ্ড বেঁকে যায়।
সকাল
সন্ধ্যে এরা
দেবতার পায়ে মাথা ঠোকে
দেবতা
ফিরেও তাকায়
না, সময় কোথায়?
সেই একই
ছবি সারাটা
বছর - বন্যা, খরা, অনাহার
...
মেরুদণ্ড
থেকেও মাঝে
মাঝে মনে হয় মেরুদণ্ডহীন
গুমোট
অন্ধকার রাতে
অভিমানে চোখের জল
মুছি -
স্মৃতির
পাতায় অবুঝ
কান্নাগুলো নীরবে উঁকি দেয়।
নাগপাশ
মৃত্যু
ছুঁয়ে আছে
মানুষের জীবন
নাগপাশ
থেকে মুক্তি
কবে!
নিজের
অজান্তে লিখি
শ্বেতপত্র
কান্না
পুড়ে যায় চিতার
আগুনে।
তবুও
বাঁচতে ইচ্ছে
করে -
কেউ কী
খুলে দেবে
অভিশপ্ত নাগপাশ
বুক ভরে
নেবো মুক্ত
বাতাস ...
নিঃশ্বাসে
আছে বিষের
থলি
পূর্ণিমা
চাঁদও কলঙ্ক
নিয়ে বাঁচে
আমরা
বাঁচতে চাই
মানুষের
মতো -
মাথা উঁচু
করে আজীবন
...
স্বাধীনতার
রক্ত
চোখ আছে, তবুও
দেখতে পাই না
ছানি পড়েছে চোখে -
চোখ দুটো
ক্রমশ ঝাপসা
হচ্ছে
প্রকৃতির
অপরূপ সৌন্দর্য
ধূসর লাগছে।
এখন দিন
রাত্তির সমান
সমান
প্রখর
রোদ্দুরের রঙও
কালো
জীবনের
বোধটা হারিয়ে
ক্রমশ যাচ্ছে ...
থমকে গেছে
বিপ্লবী চেতনা
স্বাধীনতা, সে
এক উন্মাদনা -
শরীরের
রক্ত যেন টগবগ
করতো।
এখন আমি অশ্বারোহী পঙ্গু
ঘোড়ার মতো
বেঁচে আছি
ঠিকই -
কিন্তু
কেউই খোঁজ
রাখে না
স্বাধীনতার
রক্ত এখন মূল্যহীন।