মীরা মুখোপাধ্যায়
কালবৈশাখী
একুশে বৈশাখ আজ
সন্ধ্যার
সামান্য আভা মুছে নিল হাওয়ার দাপট,
আমি যে ঝড়কে এত ভয়
পাই
জানালার পর্দা সরিয়ে তাও আকাশ দেখলাম
যাকে ঝরোখা দর্শন
বলে
এ ঝড়ের নাম আমি নাজিম হিকমত দিতে পারি
রোগা হাত বাড়িয়ে কি
কপাট বন্ধ করে দেবো
যূথবদ্ধ মেঘের জঙ্গলে সব ফেলে ভেসে গেলে
খুব কি লোকসান হবে !
ছড়ানো ছিটানো জীবন ও জীবনের সাজানো
সংলাপ.....
ঝড়ের পরের দিন কিছুই ঘটেনা
শুধু ঋতুক্ষান্ত
মলিন মেয়েটি
ঝড়ে ছিঁড়ে যাওয়া তার
ফুলছাপ পর্দাটি দেখে
সেলাই করার কথা ভাবে
কাঁসাই
নদীরও বয়স
বাড়ে
কাঁসাইকে দেখে তাই
স্থির করলাম।
রূপ যৌবনে তার বেশ স্পষ্ট ভাটার ইঙ্গিত
কথাও কমেছে বেশ,
আগে দেখা লাস্যের
সাথে
আজকের কোনো মিল নেই
আমি তার কাছে এসে বসলাম,
ঋতুক্ষান্ত দুঃখী নারীর
শিরাওঠা হাতের পাতায়
তার ততোধিক দুঃখী
ঢেউ
ছুঁয়ে আদর করলাম
কাঁসাই হাসলো
একটু
হাসলে এখনও ওকে
অসম্ভব সুন্দর
লাগে
পুরোনো বন্ধু
-------------------
আজ এরকম বৃষ্টি
ভোরবেলা আশাও করিনি
ঝলমলে রোদ ছিল
তাছাড়া মাসটাও চৈত্র
কিন্তু বৃষ্টি
এলো।
সাঁকোর সামান্য আগে
তোমাকে দেখলাম
অনেক বছর পর, চিনলামও।
তুমি কিন্তু চিনলেনা
দুবার তাকালে শুধু....
তারপরই বৃষ্টি এলো ঝেঁপে
অথচ সামান্য
আগে
কি রকম রোদ
ছিলো বলো !