বন্যা ব্যানার্জী
শ্রাবন দিন
আড়মোড়া ভাঙে
বৃষ্টির চেনা পথ
আলসে পেরনো গল্পেরা
অনাসৃষ্টি
চিঠি ডয়ে আনে
শ্যাওলা জমানো কার্ণিশ
চোখ থেকে চোখ সরিয়ে
নিচ্ছে দৃষ্টি।
উড়ছে পাতারা উল্টে
পাল্টে এ্যলবাম
নিরাপদে থাকা দূরত্ব
কমে পিছলে
আঙুলের কোণে চমকে
উঠেছে বিদ্যুৎ
গরাদ ভাঙছে অনিয়ম
যত শিকলের।
বুকের কাছেতে অবিরাম
মেঘমল্লার
বারান্দা ভেজে মুঠো
মুঠো রূপকথা রা
অবাধ্য স্মৃতি
বৃষ্টি মাখছে তোলপাড়
নৌকো ভাসিয়ে হেঁটে
যায় চুপকথা রা।।
উদযাপন
ঊষাকাল
ধুয়ে আড়মোড়া
ভাঙে সূর্যমুখী।
সদ্য
স্নাতা বধূ টি
হেলান দিতেই
আস্ত একটা
রোদের উদযাপন
দেখলাম।।
মা
ক্ষিধের
পাশে আজন্ম
কাল মা বসে থাকে।
পরিশ্রমী,ক্লান্ত
শরীর।
অসুখের
ভেতর ,কান্নার
ভেতর।তারপর
আমারই
ভেতর ভাত বেড়ে
দেয় মা।
বুলডোজার
আমার
উঠোনে মাধবীলতা।
দিন ভাঙা
মুহুর্তে জুঁইয়ের
আশ্বাস।
তুমি গুছিয়ে
রাখছো তেলের
শিশি,চিনির
বয়াম।
আলগোছে
শাড়িটি বদলে
প্রদীপ জ্বালছো ঠাকুরঘরে।
তোমার দু
চোখে ঘরের
সমারোহ।
এ
ভালোবাসায়
নিবেদিত মন সব দিতে পারে।
রাস্তার
ওপারে পুরনো নির্মাণ ভেঙেন
তুন
নির্মাণ ছক কষে।
ভাঙা
গড়ার এ খেলায়
নিয়ত ই ছক কষে পোশাক।
তুমি
বিচ্ছেদ চাইলে
আমি কি না দিয়ে পারি!
শুধু
বুকের ভেতর
লুকিয়ে নিতে পারি।।