শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

অভিজিৎ দাসকর্মকার


অভিজিৎ দাসকর্মকার

ব্র্যান্ডেড সইসাবুদগুলো কামড়ে ধরছে ঠোঁট

আমার টাইমলাইনের ভিতর কাঁদছে কাল গভীররাতে ডাউনলোড হওয়া মেঘ, এবং
মেদহীন কবিতা নদীর সাথে অভুক্ত বইছে________
                                                                                                                   কোনো আন্দোলন নেই।

খুলে যাচ্ছে প্রতিবিম্বের দরজা। দরজার ওপারে ঝুরঝুরে সাইটোপ্লাজমের বউঠানি অভিমান। তার মধ্যেও
প্রতিসারিত বায়ুরশ্মিগুলো টেঁড়া মেড়া অবয়ব বইছে ———

                             কলমে মুক্ত বৃষরাশি, আর
                                                          ব্র্যান্ডেড সইসাবুদগুলো কামড়ে ধরছে ঠোঁট

গতমাস যাবৎ খিদেগুলোও ভেজিটেরিয়ান হয়ে পড়েছে। পাশে সুন্দর ভাবে চাপা মশারি।
                    নিশ্চুপ ছায়ামানবীর পিঠের আড়াল থেকে দেখছি।

আশ্চর্য রকমের ভালোবাসা ক্লোরোফিলের গণতন্ত্রে শীতজীর্ণ শরীর খারাপ নিয়ে বক্তব্য রাখছে, আর
প্রোটিনভরা দেয়ালে ব্লকফন্ট এবং বোল্ড-অক্ষর টগবগ করছে।

এগুলো সবই খুব গোপনীয়ভাবে গর্ভে ধারণ করেছে ক্রিমরঙের পোশাক, এবং
ঢালাই-হাসির প্রতিফলনে চেঁচাতে শুরু করলো পানসে নদীর দক্ষিণ-যৌবন কোণ, কারণ

দীর্ঘশ্বাস উঠলেও , পৌষ্টিকতন্ত্রে
NOUN, PRONOUN, আর অষ্টাঙ্গিক মার্গ চারকোনা হয়ে অপুষ্টই থাকে_____







চিত্রনাট্যে পুষে রাখছি শালগ্রাম শিলা

ছড়িয়ে রয়েছে ঘরকন্না, আর
    গোগ্রাসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে রয়েছি ———
                                     
আমার বারান্দা নেই, শুধু
 থাক থাক দেয়াল, বাবার প্রেসার, আর
                              মায়ের ওঠা বসায় ১টি করে গাবাপিন১০০ লাগে____

২দিন আগে রেশনটাও ইতিহাসে স্থান পেলো,
          গতরগুলোও কেমন খনিজহীন
                                      পিঠের পিছনে উচ্চফলনশীল প্রতিশ্রুতি
                                                                   চিত্রনাট্যে পুষে রাখছি শালগ্রাম শিলা;

শিলাস্তর মূলত ভাঙছে।
গার্হস্থ্যে আলুপোস্ত, মুসুরডাল, ফ্যাট খুব জমিয়ে সহবাস করছে,
এগুলো স্বপ্নের একেবারে পাশেই থাকে। রোজ ধুনো দিই।
                                      তবে আজকাল আর প্রশ্রয় দিচ্ছি না।

                   আমি ক্রমশই ছিলোটুকুকেই এঁকেবেঁকে নিয়ে চলেছি। কখনো আবার আসবে বলছি। আর সাড়ে তিন বছরের ছেলেটা গলা জড়িয়ে বললো, বাবা তুমি খুব ভালো———







স্নায়বিক শয়তান রিগলিং করে উঠছে

দেখে বোঝা যায় না কিছু, অথচ তছনছ হয়ে চলেছি হাঁটতে হাঁটতে_____
হঠাৎই সন্ধ্যার একপাশ থেকে ধস নামছিলো। তাই অকারণ কোনো প্রশ্ন করিনি।

রাস্তার হ্যালোজেনে মৃত্যুর পরের দলিল লেখা হচ্ছিল পিথাগোরাসিয় সূত্র ধরে, এদিকে
সেই সূত্রের ভিতর যে গনতন্ত্র নির্লজ্জভাবে বিনা রোজগারে ঘরে বসাকে বশ করেছে;
                                                                                                প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে দপদপানি স্নায়বিক শয়তান রিগলিং করে উঠছে বারবার_____

এবার বাসস্ট্যান্ডে মগজে হাতবুলিয়ে ঘোরার দিন আসছে—

তুমি বলছিলে, না আমি দেখাবো ২দিন না কথা বলেও থাকা যায়____
          সেই সংলাপে চৌমাথা পার হয়ে পশ্চিম দিক ধরেছি।

ওখানে সাদা খামে শূন্যতাবাদ এবং আশ্চর্য কিছু ঘনবস্তু আমাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে অহংকারে লাল করছে |
                                      কাঠের উপর কাঠের বাড়ি সাজানো হচ্ছে।
                                      ঈশ্বরের দিব্যিতেও চোখের ভাবভঙ্গি দেখছি।

আমি জানিনা আজ মাথার ভিতর কেনো এতো ঠাসা নাস্তিকের ভিড় জমেছে?______