এ কে এম আব্দুল্লাহ
ক্লাইমেট চেঞ্জ
বুকসেলফ
থেকে আলো উড়ে যাচ্ছে আকাশে। আমি লটকে আছি কারেন্টের তারে। চোখ শুকোচ্ছে আঙুলের
ডগায়।
বাঁচার
প্যাটার্ন বদলে যাচ্ছে। মৃত্যুও। আজকাল চোখ দিয়ে কিছুই দেখি না। পেট দিয়ে দেখি।
এখন
জৈবসারের কম্পিটিশনে— সমুদ্র ফুঁসছে।
সময়ের রিংটোন
রাস্তাটি
আগের মতোই আছে। আর রাস্তার পাশে যে বৃক্ষটি দাঁড়িয়ে আছে, স্প্রিং এর প্রান্তে ফুল হাতে
স্বাগত জানাতে আলো—
এখন সে
ফুলের পাপড়ি থেকে উড়ে যাচ্ছে বিষাদ-ঘ্রাণ। আমাদের অগোচরে কেউ সেই বিষাদ ঘ্রাণ—
ভরে নিচ্ছে প্লাস্টিকের নিজস্ব কন্টেইনারে।
আর আমরা
যে ফুলকে দলিত-মলিত করে প্রতিরাত ঘুমুতে যেতাম ; এখন সেই ফুল বহুমুখী এক
প্রতিবাদী গল্প হয়ে ওড়ছে। যে গল্পের গ্রিলঘেরা দীর্ঘ বারান্দায়— আমরা এখন কেবল
সময়ের এক রিংটোন মাত্র।
জন্ম
মেয়েটি
হাঁসগুলোর গলা কেটে দিচ্ছে।হাঁসগুলো এখন আকাশে উড়াল দিচ্ছে। মেয়েটি গলায় ওড়না
বেঁধে পেছনে পেছনে সাঁতরাচ্ছে।
আমি
চোখদুটো খুলে গেঁথে রেখেছি কারেন্টের খুঁটিতে। এখন আ্যাটিকরুমে বসে— তাদের ডুবে
যাওয়া দৃশ্য দেখছি।