শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

তাপসী লাহা


তাপসী লাহা

এক

আমাদের ঘুম ভাঙে কেউ মারা গেলে
জীবনের জোলো ধাঁধাঁয়  ধারালো ছুরিতে
এই যে রোজ শানাও সুপথ্য বিষের অঙ্গরাগ
চেরা জিভে কবোষ্ণ রক্তের
উদ্বেল তোলা
স্বাদমূর্ছনায় সিক্ত ঘোর নিয়ে মহাকালের ছন্দে মেলো
অঙ্গের প্রতিটি প্রান।

আমাদের ঘুম কি ভাঙে!

শিশুর মত স্বচ্ছ চোখে  ভালোবাসা  তাপি
সমীকরণের চামড়ায় ঢেকে রাখা
মহার্ঘ্য তোমার হ্রদয়টুকু রেখে বেঁচে
ফিরতে চায়।

ভালোবাসার নয়,মানুষের
এ সব জীবন
আবেগের থেকেও অন্য কিছু খোঁজে
সংঘাতের সবটুকু মুছে গেলে
একান্তে শান্তি দিও,
হে পরম

হন্তকের হাতে নিজের মৃত্যু লিখে যাব
শুধু

একটিবার মায়ার ছাঁচে গড়া
অনন্ত ভূস্বর্গে একটু  ধ্যানস্থ হওয়ার কাল আসুক।






দুই

বিরামের কিছু যাপন জুটে যায়  আজ ফের
কেউ ডাকলে
আবার ভিজে যাবে
গাছ
শব্দের শৃংখলে জর্জরিত সাহারায়
প্লাবন গেয়ে ওঠে অন্যত্র আজ
মুখভার  থেকে খসে পড়ে তারার আদর
অশ্রুই হোক আর বৃষ্টি
অজান্তেই আসে সে অতিথি।







তিন

নির্ঘাত কোন নদীর নাম থেকে
অচেনা সুগন্ধির প্রশ্ন ছুঁড়ে দিই।

ঠিক তার পরেই
আমাকে ডুবে যেতে হয়
কারণ গভীরের গায়েই প্রতিটি সূক্ষ্মতর রোধ থাকে,
বহুবছর সেসব বুনো ও
আদিম পলির
ঘরকন্যায়  চামড়াগুলো ফুলে ওঠে,
অকালের যজ্ঞে  জ্ঞান ফিরলে
পৃথুলা কারকে আবিষ্কার করি সবটা
বদলে গেলেও থেকে গেছি কোনও একরকম।