তাপসকিরণ রায়
অস্থিরতায় অবাঞ্ছিত নিজের ছবি
রক্ত দেখো লাল, তার ধর্ম
বিভাজন নেই--
সূচ্যগ্র মেদিনীর জন্যে
মহাভারতের যুদ্ধ ছিল অনিবার্য।
আজ এই মধ্যাহ্ন উত্তপ্ত পৃথিবীর
দিনগুলিতে
কোথাও স্থিতিস্থাপকতা নেই--আগুন
জ্বলছে, পথে-ঘাটে,
মনে ও শরীরে, পাগল প্রলাপের
নৈশ চিৎকারে ভাঙচুর চলছে।
সান দেওয়া ছুরির ফলায় ধরা আছে
চিতানো বুক ও মাথা--
মহামারী স্ফুলিঙ্গ ছুঁয়ে
যাচ্ছে, অরাজকতার এই তছনছ জীবন,
রাজপথে দুরারোগ্য
রাজনীতি--ভাড়ার উন্মুক্ত গুন্ডাষন্ডা খেপাদল।
ধর্ষিতা সে মেয়েটির শরীর অনায়াস
জ্বলে যাচ্ছে।
তারই পাশে প্রতিবাদী মোম
শিখাগুলি কেঁপে কেঁপে নিভে যাচ্ছে।
কি অলাতচক্র পাতা আছে?–যাতে অনায়াস
খুলে যাচ্ছে
খাপের তরবারি, পিস্তল
খোলামকুচির মত, বিক্ষিপ্ত জনতার মাঝে
ভাষণ ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে।
উত্তপ্ত জনতার বুকে চাপা আগুনধোঁয়া—
অন্যদিকে পেট্রোল যুগিয়ে
যাচ্ছে তৃতীয় স্বজন!
ভাব ভাবনার বিসর্জনে জ্বলে
পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে
আমাদের স্বভাব ও চরিত্র। দলদল
স্ফুলিঙ্গে জ্বলে যাচ্ছে ঐক্য মন্ত্র—
আজ পথে ঘাটে নিয়ম ভাঙার খেলা
চলছে। একসাথে অসুর ও
বিশ্বাস ঘাতকের দল, সংঘবদ্ধ
তালিকার শীর্ষদেশে বসে আছে--
শুধু ছা-পোষা তুমি আমি আমরা
জানলা দরজা
এঁটে নিজেকে বাঁচাবার দুরন্ত
আশায় আতঙ্কিত অস্থির দিন গুনে যাচ্ছি।