মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০

সুকান্ত মজুমদার


সুকান্ত মজুমদার

চিরন্তন বন্ধুতে

এসো হৃদয়ের একেবারে সমতলে
চিনে নাও চিরন্তন বন্ধুতে -
আমি থেকে আমরা হবার অভিলাস হয়ে
অরণ্যের সবুজতা বুকে মাখি,
বিরাট প্রেমের একটুকরো নীলাভ আকাশে
হয়ে উঠি পরিচয় আগ্রহী শান্তি  রঙের পরিযায়ী পাখি।
আশ্রয় হীন স্বপ্নগুলি উড়িয়ে দি
ধবল বক করে, চিরন্তন বন্ধুত্বে -
দোহের হাসির দায়ভার
সজনে ফুলের মত ছড়িয়েফেলি
আঙনে তুমিময় সমাদরের অন্ধত্বে,
সুচারু দৃষ্টির ঝরে যাওয়া অনুরাগ
তুষ্ট হৃদয়ে সখ্যতার আঁচলে
দুজনে সুকথার কুজনে করেনি ভাগ।
তুমিহীন, তোমাতে না মিশেতে পারা
দুজনের দুরত্বের পরিভাষা কান্নাসুরে
আত্মবিবাদ হয়ে ক্রন্দনরত অন্তঃপুরে।

সভ্যতার ধার ঘেসে আত্মমোহের
উৎপীড়ন,অমানবিক সম্মোহনে গলাগলি -
এসো, শেষ পর্যন্ত, শেষ হবার পূর্বেই
সভ্য হবার ইতিবৃত্তে নিজের ভাষায়
অন্যের দর্শিত বাসনা ছেড়ে
অন্তরের স্বপ্রণোদিত ইচ্ছায় কথা বলি -
এসোনা, টুকরো জীবনের অভিলাষ
স্মরণ করি প্রাণপণে।
সব বিভেদ ও প্রভেদের জলাভূমির
কর্দমাক্ত সিক্ত চিত্ত চিরতরে
বাস্পায়িত করি সম্পর্কের উত্তাপে,
ভালোবাসার মেঘ হয়, সহমর্মীতার বৃষ্টিতে 
প্লাবন আনি, মুক্ত করি জঞ্জাল -
ধৌত করি তীব্র উগ্রবাদ তোমার নিমিত্তে।
সম্পর্কের অন্ধকার ধুয়ে ফেলি
চলো সৃষ্টি সুখে ঝরনা হয়ে কথাকয়
বিরাট বিবর্তনের সীমান্তে,
আমি তুমিকে, তুমি আমাকে জানবার
প্রয়াস ও প্রয়োজন গড়ি একান্তে।
আদিম অক্ষরে লেখা হিংস্রতা, নিষ্ঠুরতা
ভুলকরে সত্যি ভুলে যায়
অরণ্যের প্রস্তর যুগ আর
স্বজনের কান্না মন্দ্রিত তৃষিত নখ ও বৈরীতা,
বুঝে উঠি,এজীবন কিছু সময়েরি পরবাস
ফিরিয়ে দি মননের সভ্য পোশাকি নগ্নতা।

তোমার সৃজন করেই এ আমি পূর্ণ
সে আমিতে এখনো তোমার পদচিহ্ন খুজি
তোমার অসহ জীবন চিত্রনাট্যে
ক্ষণিকের শান্তনায় কিছু সংলাপ বলি
ফাগুন দুপুরে উদাস পথের পাশে নিভৃতে
তোমায় বিনম্র পলাশ ভাবি,
চির চেনা অবয়বে দখিনা বাতাস সাথে
মিলেমিশে একাকার হতে শিখি
অবকাশে ভাবের শিমুল ফুটিয়ে তুলি।

কতিপয় শ্রেণী অভিপ্রায়ী অতিজীবী
মনুষ্য রূপ প্রাণীর নির্দেশিত পথে
দৃষ্টির অস্পষ্টতায় অদৃষ্ট গড়ছি -
চোখবুজে দেখি, তুমি সেই তুমিই আছ
আপন হয়েই সুদৃঢ় সহনশীল পাথর হয়ে
বিভেদ বৈষম্যের খরস্রোতা প্রবাহে বয়ছি -
যে যার মত গন্তব্যহীন বয়েই চলেছি।
*******-*********