নুরুন্নাহার
শিরীন
ভাবজাল
জাতপাতহীন
ভাবো, অযথা যে
আমাদের মারমারকাটকাট
হুড়মুড়িয়ে
ভাঙছে সম্পর্কটা হঠাৎ!
ভাবো, ভাইবোন
আগে কত ভালোই ছিলাম।
আজ
কেন ঘরছাড়া করতে এমন ধুমধাম?
চড়াও
হওয়া, পঁচা
কাদাজল ছোঁড়াছুড়ি?
অতীতে
আমরা কত সহজে করেছি ওড়াউড়ি।
সেসব
ভুলে কী খুব হয়েছে বিশাল বাহাদুরি?
রাজনীতির
কত যে বিচ্ছিরি বিকট ছলচাতুরী!
দেখে
বিবমিষা জাগে, আমরা
পারি তো অভিন্ন
আমাদেরই
ভালোবাসায় আবারও জড়াতে স্বপ্ন।
যাতে
হর্তাকর্তাবিধাতাদের নীতিহীনতা মানে হার
আলোয়
জড়িয়ে থাকা ভোর যেন জোছনার।
হাতের
গভীর মায়া ছায়ার মতোন লাগে -
মাথার
উপর প্রিয় গুরুজনের আদর ডাকে।
অথচ
আমরা কী না বোকার মতোন যাই -
রাক্ষসখোক্কসের
গুহায়, কুমিরের
হা ওদের ভাই।
বোনের
আকাশভাঙা কান্নায় হৃদয় ক্ষয়ে যায় -
ছোট্ট
শিশুও আহা রক্তাক্ত,
পায় না রেহাই!
কেন
তাহলে ভাবো তো আজ শপথ হবে না -
কেন
আমরা আবার সম্পর্ক ধরে রাখবো না!
বলি
যে পড়শি কেন আজ এতটা অজানা
সে
বসতে পেলে ছায়া, সে
কী বসতো না!
কী
তার এমন তাড়া -
এপারওপার
আজ এতটা হতচ্ছাড়া!
ভাবো, ভাবের
দোলায় আহা আবারও যদি
ভাসতো
তুমুল রাঙা ভালোবাসা একনদী!
চলো
না কবিতা হই -
ঝগড়া
মিটিয়ে দিয়ে এপারওপার একাকার হই।
ভাবের
জোছনা থেকে রূপালি চাদরে ঢাকি -
অধর্মের
জুজুর ভয়, প্রেমে
পৃথিবী জড়িয়ে রাখি।
২১
শে ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ