কাকলী
মুখার্জী
বিশ্ব
মানব
শিশুটি
কেঁদে উঠলো চিৎকার করে,
হাসপাতালের
প্রসূতি বিভাগের বারান্দায়,
তার
স্বর শুনে বলতে পারবে ,
কিংবা
তার মুখ দেখে!
সে
হিন্দু না মুসলিম নাকি অন্য জাতের??
যাত্রী
বোঝাই গাড়িটা বিধ্বস্ত দুর্ঘটনায়,
অসংখ্য
মানুষ,
ধোঁয়া, রক্ত,বীভৎস পরিবেশ!
চারিদিকের
অর্তস্বর,
তার
মাঝে ছুটে গেলে,
হঠাৎ
জানলা দিয়ে বেরিয়ে এলো,
রক্তাক্ত
হাতটা !
ও
রক্তে ও হাতে লেখা আছে কি 'জাত'!!
হাসি
কান্না আর্তনাদে কান পেতে শোনো,
শোনো
নিজের হৃদয় দিয়ে,
দেখবে
ও স্বর মানুষের,
জানবে
ও আওয়াজ সাম্যের,
অনুভব
করো এ পৃথিবীর কন্ঠস্বর।
এসো, তবে আজ প্রতিজ্ঞা
করি,
বিভেদের
সব বেড়া ভেঙে দিই,
হাতে
হাত ধরে স্পর্শ করি একে অপরের আত্মা!
স্বপ্নের
এক পৃথিবী গড়ি ভালোবাসা দিয়ে,
মৈত্রীর
বন্ধনে বাঁধি 'আমাদের', এই জাতহীন
মানুষদের........
সবার রক্ত লাল
যে শিশু জন্মনিল সবে,
বাতাস ভরলো বুকে
আনন্দ কান্নায়,
সে স্বরে কি বোঝো
তার মায়ের কি জাত?
যে বৃদ্ধ রক্তস্নাত
কোনো গাড়ির তলায়,
লেখা কি থাকে হিন্দু-মুসলমান
তার লোহিত কণিকায়?
যে পিতার আদরে বাড়ে
কোনো মাতৃহারা সন্তান
চুম্বনে চেনো কি কখনও
তারা বৌদ্ধ না খ্রীষ্টান?
যে নিরন্ন ক্ষুধাতুর
ভয়ে দেখে না আর্শি,
বোঝো কি তাকে দেখে
জৈন, না পার্সি!
কান রাখো বুকে,
চোখে রাখো চোখ,
স্পর্শ করো মন,
এ পৃথিবী মানুষের হোক।