হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
মাটির তীর্থ
নাক বরাবর যতগুলো গাছ দাঁড়িয়ে
সবগুলোই আমাদের ঘর
সকাল দুপুর ঘন্টা বাজিয়ে
গাছেদের যারা খেতে দিত
এক সন্ধেয় হঠাৎ করে তাদের কে যেন ডাক
দিল
ধুলোয় বসে একসাথে খাওয়া
নদীর লতাপাতায় ভেসে ভেসে সাড়া নেওয়া
আজ যেন কোনো একদিনের লেখা গান
যার সুর কোনো এক রাজার আমলের মনে হলেও
কথার ওপর আমাদের কোনো জোর নেই
মাঝে মাঝে কল খুলে জল পাওয়ার মতো
বটের কাছে ধুলোপথের গল্প শুনে
বারান্দায় হ্যারিকেনের আলোয় আগামীর
পাতা নড়ে
মন্দির মসজিদ গির্জার মাথা ছাড়িয়ে
আরও অনেক দূরে উড়ে যায় ঘুড়ি
কোনো এক ভোরে জেগেছিল যারা
তারা জানে কতদূর উড়ে গেলে ঘুড়ি ভোর
হয়ে যায়
কথকতায় ছড়িয়ে যাবে বুড়িবসন্ত, চু কিতকিত
বিকেলের কথায় মুখর হবে চেনা অচেনা পল্লী
অগণন পায়ে চাষ দেবে বটতলার মাটির তীর্থ
।