দেবযানী
বসু
গল্পগুচ্ছর মূলরোম
গীতবিতান উষ্ণায়নের প্রকৃতি
বুকে টেনে নিল।
নন্দনের মঞ্চ থেকে নেমে যাচ্ছে
ওয়ালেট
পনেরোশো টাকা বুকে।
ব্যানারের ময়লা আঁচল ফুটো করে
অমল ও দইওয়ালার ফেলে দেওয়া
রোদ্দুর এল।
আর দুয়েকটা গলাখাঁকারি
মাইক্রোফোনের।
রোদ্দুর সিঁথিতে মাখিয়ে বহুবার
বিয়ে হল তোমার আমার।
পঁচিশে বৈশাখের শাঁখ বাজিয়ে
কলাপাতায় লেখা আমন্ত্রণ।
কেউ পেল কেউ পেল না।
আঁশটে গন্ধে ডানা ভিজে যায়
বলাকার।
সাধারণ মেয়েরা খুব দ্রুত
অসাধারণ বৌ হয়ে যায় আজও।
জন্মবুদ্ধ এক শিশুর জোড়াসাঁকো ও
তার প্রসবঘর।
জন্মবৃদ্ধ এক বলিরেখা ধরে পথ
চিনে ঘরে আসি।
গর্ভফুলের মতো বারবার পৃথিবী
পিছলে গেছে হাত থেকে।
দাউদাউ গীতবিতান চিরপঁচিশের
যৌবনবৈশাখে।
সাদা পাতায় নূপুর লিখছে ঘুঙুর
যা পরানো ছিল সূর্যমুখীর চির
অভিসারে।
ঋতু বদলের গান রোবটরা লিখে
ফেলছে।
রবি থেকে রোবটের কাল আরেক অশেষ।