রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৯

তাপসকিরণ রায়


তাপসকিরণ রায়

পুষ্প পল্লবায়িত তোমার স্মৃতিপ্রতিকৃতি


স্তব্ধতা থেকে বেরিয়ে আসছিল সোচ্চার,

ভাবনাগুলি জমাট বাঁধতে বাঁধতে উঠে আসছে

আমার চারপাশে রবীন্দ্র প্রতিকৃতি রাখা,

এক বুক ঝেঁপে আছে স্মৃতিময় সোনাঝুরি,

আজও স্বর্ণালী সকালে তোমার ছবির ওপর রোদ এসে পড়ছে

কিছু নেই, ভঙ্গুর বালি, তার বুকে তবু সমুদ্র হয়ে ডুবে আছ তুমি--

নির্জলা খোয়াই থেকে উঠে আসছে স্মৃতির ধোঁয়া

আমার বুকের মাঝ, তুমি ধরে আছো,

তোমার সে সব গল্প কবিতা জীবন কাহিনীর রূপরেখা

আমাদের সাহিত্য শৈলীতে আজও তা ধরে রাখি

যুগ যুগ পেরিয়ে গিয়েও এই অনন্ত ঘুমের মাঝে থেকে

তুমি অনায়াস বেরিয়ে আসতে পারছ  

আমাদের স্বয়ংক্রিয় বুক থেকে উঠে আসে সেই সব অব্বৃত্তি--

তোমার প্রেমের অগাধ মন, জীবনের শব্দ কথায়, বিরহের জাগরণে

আজও তেমনি ভাবে তুমি জেগে আছো আমাদের মাঝে

সেই সে দিনের সাঁওতালি প্রেমগাঁথার নৃত্যগীতিতে--  

লালমাটির শান্তিনিকেতনে, কোথাও তো রয়ে গেছো তুমি  



আজ পঁচিশে বৈশাখ--পুষ্প পল্লবায়িত তোমার স্মৃতিপ্রতিকৃতি

যতই অনন্তে বিলীন হও, জানি আমাদের বাসরে

অহরহ তোমার আনাগোনা

আজ যতবার তাঁর, ‘সমুদ্রের প্রতিপড়ি

জানি অনন্ত সমুদ্র ভাবনা ডুবুরি সেঁচনে আজও অতলান্ত রয়ে গেছে

সৈকতের ধ্যান ভেঙে কল্লোলিত গান গেয়ে ওঠো তুমি,

সাহিত্যের দিকবলয় মাঝে যে রামধনু রচেছ, 

তা ভাঙিয়ে আজও সাহিত্য বাসর সাজে

স্মরণের সিংহদ্বারে আজ শ্রদ্ধার নিগঢ় রাখি,

ধুপধুনো প্রজ্বলনে তোমার অস্তিত্ব ছুঁয়ে থাকি