মন্দিরা ঘোষ
পঁচিশে বৈশাখ
ফেলে যাওয়া
নিমেষটুকু ছুঁয়েই তো সব!
নিবিড় হয়ে থাকা চিহ্নের ক্ষতে বৈভবের সমীহ, আহিরের শান্ত
মহিমায় বৈতালিকের উতল হাওয়া,
নকশি কাঁথায় বোনা মুক্তির খেয়ালি আলাপ...
কোমল নিষাদের আলো ছড়িয়ে আছে চেনা ছাতিমের আন্তরিকতায়.....
লাল মোরামের পদধ্বনিতে.....
আজ সেই তিথিরঙে যেন ধুলোর মলাট... মুড়ে আসা ডানায় অসম
বিষণ্নতার শোকগান ... আজও সেই চকিত চাউনিতে কিংশুকের অভিমানী ঠোঁট ছুঁয়ে থাকে
বসন্তের রঙিন আঁচল ... অশোকের লাজুক
চিবুকে গোলাপি আবিরের হাতছানি.....
সেই জমাট
মগ্নতার পাতা উল্টে উল্টে চলে যায় হরিণী সন্ধ্যার পদাবলী......
মেঘের আলসেতে অভিমানী বৃষ্টিসাজ মুছে দ্যায় সেই কথকথার
সারাংশ......
সেই নিমেষটুকু ধরে
রাখার বোঝাপড়া হয় নি কোনদিন...
যা কিছু গ্রহণের সবই তো পূরণের ঋণ ....খাতা ভরে যায় অভাবী
লেনদেনে....
সরল মুগ্ধতার ধ্বনি নেশার মতো জেগে থাকে মহুলের ইশারায়...
কোপাইয়ের শান্ত ধারার কান্নাকথার আশ্রয়ে .....
জড়িয়ে থাকা আয়ুর আকুল ছায়া অজান্তেই ছুঁয়ে যায় উদয়নের নিভৃত
আকাশ....,
আসক্তির ডুবো
সিঁড়িতে শান্তির বিস্ময়জল আঁকা আভিজাত্যের
ঘোর..
বিস্মৃতির কেতন উড়ছে নীরবে একা একাই সমস্ত বিভ্রম মেখে.....
প্রজন্মকথায় পঁচিশে
বৈশাখ শুধুই উৎসব হয়ে জেগে আছে মৃদু পক্ষাঘাতে....
মুখনীচু বিষণ্ণতার মেঘ শুধুই সামনে এসে জোনাকিজীবনের
আলোগুলিকে ম্লান করে......