সবর্না
চট্টোপাধ্যায়
বৈশাখ আর নাথ
ধরো, থাকত না এ
নির্মাণ
ধূসর মলিন ভোরে এগিয়ে চলেছ
মাথানত ঈশ্বর
কি করতে, বলো, নাথ?
রুক্ষ্ম বনানীর ভেতর ছুটে যেত
হাওয়া?
হয়ত কিছুই না…হয়ত অনেককিছু
তখনও সে মহামানব বিদ্যুতবেশে
ধরা দিত অক্ষরের মতো।
এত প্রেম হাহাকার যেভাবে নদী হয়ে
গেছে
ভেবে ভেবে, চিঠি লিখি।
চিঠি লিখি যতবার বুক ভাঙে আর
জন্ম নেয় প্রেম।
বাইরে ঝড় ওঠে।
ভয় হয়, এই বুঝি ভেঙে
যায় ছাদ
চাঁপাডালে বসে থাকা পেঁচা দুটো
উড়ে যায়
একে অন্যকে ছেড়ে!
লিখতে লিখতে আরও কত রাত...
লোডশেডিংয়ের পর সয়ে গেছে চোখ।
আঁধারেও দেখি, কাঁপা কাঁপা পায়ে
এগিয়ে
আসছে সে, ধীর।
মোহ, তুমি ভাত
বেড়ে রেখো, দীর্ঘ
অপেক্ষায় ।
আমি আঠাশ বছর আগে ফিরে যাব আবার
লেখা শেষ হলে, নির্মাণে
এঁকে দেব
ঈশ্বরের মুখ…!
যে আমায় প্রথম মাটি চিনিয়েছিল
যে আমায় প্রেম বুঝিয়েছিল
বিরহে বিরহে অপেক্ষা দেখিয়েছিল
যে
তার বৈশাখে ফোটাব ঠিক দীনের
আলো!