রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৯

দীপ্তনীল ব্যানারজী


দীপ্তনীল ব্যানারজী

আমার পঁচিশ

শৈশবের অপাপবিদ্ধতা তার দাবী না মেটার আফসোসে ছেড়ে গেছে অনেকদিন।

তারুণ্যের রক্তও আজ আপন গ্লানিতে মৃত্যুসম শীতল

ক্লান্তির ক্ষমা পাওয়া বাকি আছে, থেকেও যাবে নিশ্চিত।

বিপদের ভয় বাড়ছে দিন দিন। বড় শখ ছিল তোমায় অগ্রাহ্য করার।

ছেড়ে রেখে কিছু অক্ষরের বিন্যাস; কি আছে তোমার আর?

সে বিন্যাস ভাঙার ত্রুটি রাখিনি; তবু প্রতিচেষ্টায় আরও অমোঘ হয়েছ তুমি।

রাত পোহানোর পর আসা উজ্জ্বল সাদাটে শরৎ সকাল থেকে

খয়েরি হেমন্তে পাতা ঝরা টুপ টুপ শব্দে তুমি বারে বারে এসেছ

শব্দ, বর্ণ, গন্ধহীন এক চতুর্মাত্রিক অস্তিত্বের মত।

সে অস্তিত্বে লীন হয়েছি আমি। প্রেমিকার চুলে পাওয়া যৌনতা,

কোন চেনা বিশ্বাসে ভর করে আসা অচেনা ঘাতকতা,

না চাইতেও বারবার তোমাতে উপগত হয়েছি, প্রসব যন্ত্রণায়।

হাজার অসুখ পোষা এই সংখ্যা সর্বস্ব মধ্য বয়সেও ভীষণ প্রাসঙ্গিক তুমি।

মধ্যশ্রাবণের পরাহ্ণে নেমে আসা এক আঁজলা জলের মতই তৃপ্তি আনো,

আর ধুয়ে যায় সব দিন সীমা, জেগে থাকে শুধু পঁচিশে বৈশাখ।