মণিজিঞ্জির
সান্যাল
পঁচিশে বৈশাখ এবং ....
পঁচিশে বৈশাখ মানেই আগুনের
পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে
পঁচিশে বৈশাখ মানেই মংপুতে আরো
কিছুটা সময়
পঁচিশে বৈশাখ মানেই ঐ দিগন্তে
সুরের আগুন লাগল
পঁচিশে বৈশাখ মানেই টগর জুঁই
গন্ধরাজ আর কৃষ্ণচূড়া
পঁচিশে বৈশাখ মানেই নতুন স্ক্রিপ্ট
পঁচিশে বৈশাখ মানেই ঋতুরঙ্গ,
বাতাসে মাদলের তাল মাতাল ,
কাঁচা আমের সরবত থেকে পরিণত
স্বাদবদল...
পঁচিশে বৈশাখ মানেই আমার
মেয়েবেলা
মনের কোনে কিশোরী মেয়ের আঁকিবুকি
খেলা
জলতরঙ্গের রিনিরিনি ঢেউ ওঠা,
লুকিয়ে প্রেমপত্র পড়া ,
আমি এক সাধারণ মেয়ে
লুকোচুরি
অমল ও দইওয়ালা
বিসর্জন
শেষের কবিতা
ঘরে বাইরে , রক্ত করবী , ঘাটের কথা, চোখের বালি
কিম্বা......
পঁচিশে বৈশাখ মানে
ফ্যাশনটা হল মুখোশ , স্টাইলটা হল
মুখশ্রী
পঁচিশে বৈশাখ মানে লাবণ্য , নন্দিনী , চন্দরা
কাদম্বরী, মৈত্রেয়ী
দেবী , লীলা
মজুমদার , ভিক্টোরিয়া
ওকাম্পো
পঁচিশে বৈশাখ আসলে
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী
করেছ দান
কিম্বা
ভরা থাক স্মৃতি শুধোয় বিদায়ের
পাত্রখানি
অথবা
জাগিবে একাকী তব করুণ আঁখি
তব অঞ্চলছায়া মোরে রহিবে ঢাকি
পঁচিশে বৈশাখ মানে হে নূতন
তুমি বারবার দেখা দিও নতুন রূপে
নতুন সাজে
নব নব রূপে এসো প্রাণে
এসো গন্ধে বরেন , এসো গানে
আমার কবি
হে কবি
প্রণাম জানাই তোমায় ......