রমজান বিন মোজাম্মেল
এসো হে বৈশাখ
হৃদয় পুরে আগ্নেয়গিরির দাবানল, , রক্তমাখা পথ.
নীল কন্ঠক, সর্বত্র
মানুষপোড়া দুর্গন্ধে বাতাসকে করেছে প্রাণহীন । পেট্রোলের আগুনে মাইশার ওড়না, মায়ের আঁচল, ট্রাকচালক
বাবার মাথায় থাকা ঘাম মোছার গামছাটাও অক্ষত নেই ! ইজ্জতটুকুও পুড়িয়ে ক্ষত-বিক্ষত
করেছে মৌলবাদী দানবের দল।
...
এবার চৈত্রের বেশ আগ থেকে চৈত্রের দেখা, আর এই পুরোটা
সময় যেনো চৈত্র খরা। বলতে পারেন,
গর্ভবতী মায়ের প্রসব ব্যথার চুড়ান্ত সময়ের অসহনীয় যাতনার মত। অপেক্ষমান
বাঙালিরা ভাবছে , ঈশানে
মেঘ জমতে আর কত বাকি?
ঠিক তখন ঘুছে যাবে অশুভ শক্তির রক্তহোলির লাল আভা। আমরাও
তখন বৈশাখী প্রলয়নৃত্যের তালে তালে উড়াবো
জঞ্জাল যত আছে জীর্ণতার। আম- কাঠাঁলের ডালে- ডালে আবার ভরে উঠবে নির্ভেজাল জলজ
সম্ভার। শুভ্র সকালে পুকুরজলে দলবেধে
হাঁসের ছানা কচিডানায় সাতাঁর কাটবে,
আর নরমঠোঁটে কচুরিপানায় চুমু শিখবে ।
তুমি এসো,
মত্ত বায়ূ মেঘের অবিরাম ঝড় উঠাতে কবিতায়...
তোমার আগমনে জেগে উঠার বিশ্বাসে অপেক্ষমান বাঙালি
নবউদ্দ্যমে যেন, প্রতিটি
জীর্ণ প্রাণ আজ হৃদয় দিয়ে গাইছে,
রবী ঠাকুরের সর্বজনপ্রিয়,
বিশ্বখ্যাত গান‘এসো
হে বৈশাখ’...