সুতনু হালদার
ইচ্ছে দুপুর ও একটি কলিংবেল
(১)
প্রতিটা ক্ষতই আসলে ব্রেসিয়ারের দুরন্ত স্ট্রাপে
নিজেদের আটকে ফ্যালে, অতএব--
প্রতিবর্ত ক্রিয়াগুলো কিস্যু খুনসুটি বোঝে না!
আপেলরঙের ইচ্ছেদুপুরে আটকে থাকে
তিনমহলা স্বপ্ন থেকে কলিংবেল
পড়ন্ত বিকেল আরো আঁটোসাটো যুবতি হয়ে উঠলে
স্কোয়্যার রুটে পুরুষাঙ্গ শাইলকের মতো
ক্ষুরধার...
(২)
ভাষণ দেওয়া ছেড়ে জায়মান জ্যোৎস্নায়
কুয়াশাকে লিখতে পারাটাই আগামী দিনের কবিতা;
বদহজমে কিছুটা আর্কিমিডিস থেকে ইউরেকা...
ব্যাসদেবের টেরাকোটায়--
স্নিগ্ধতার তমোঘ্ন মেঘবিলাস!
এক এক করে ক্ষতর হিসেবে
ভরে ওঠে নিতম্ব কুঠুরি
(৩)
ধূনোর গন্ধে মাতোয়ারা সূর্যস্রাব চড়ুইয়ের
পেটরোগা পলেস্তারায় দাঁড়িয়ে আছে... হু হু
বাবা; নিঝুম ঘরোয়া শস্যকণাগুলো মাঝরাতে ক্লোরোফিল দেখে বাউল। মৃদুস্রোত! বিছানার
বন্ধুতাকে অগ্রাহ্য করতে পারে না কৃতঘ্ন জোনাকি...
প্রান্ত বরাবর খলবলে রোদের অনুতাপ ঝরে পড়ে, যৌনতা
সিঁড়িভাঙা অঙ্কের ইঁদুর দৌড়ে ম্যারিনেট হয়ে ম্লেচ্ছ উপমায় আগামীর ফসল তোলে;
শীত এসে কবোষ্ণতা গিলে ফ্যালে...
ঘাম মোছা একচিলতে বারান্দায় তবুও পাখিরা আসে,
বসে, চেয়ে দ্যাখে... হা হতোস্মি...
(৪)
মানুষগুলো ক্রমশ কাঠবেড়ালি হয়ে ওঠে,
এই পরিশোধ্য জন্মঋণ
সামুদ্রিক দারুপৃষ্ঠে প্রাজ্ঞ
বহুগামী আয়নার আদ্যোপান্তে ভীড় করে থাকা
পানকৌড়ি পাখিদের রং মশাল
জীবনানন্দ দেখেননি, বারুদ
কৃষ্ণ না হতে চাওয়া অন্ধকারে
ঢুকে পড়ে অসংখ্য অশ্লীল মৌমাছি
(৫)
এই যে গাছ ভর্তি এত সুদৃশ্য লঙ্কার
সারিবদ্ধ সৌন্দর্য এতে কোনও নারীর
দেহসৌষ্ঠবের মাহাত্ম্য নেই; তবুও এক
অপার বিস্ময় হামাগুড়ি দিয়ে খাদ্যতালিকাকে
সমৃদ্ধ করছে, সেই সমৃদ্ধি স্বাদকোরকের
স্ফূর্তিকে কখনোই তোয়াজ করে না...
জিভের প্রসঙ্গ বাদ রেখে মরিচ
এক লহমায় বৃষ্টি আনলেও
পঞ্চব্যঞ্জনে
নিপুণ
সাংসারিক
অতএব লাঙলের একরৈখিকতা
স্বাধিকারের আওতাভুক্ত হয়ে পড়ে...
(৬)
কোথা থেকে একরাশ ঘাসরঙা রক্তঝলক
ছুটে এলো, মরমী নদীটির
এইপ্রান্ত থেকে ওইপ্রান্ত অবরোধ!
শুধু আগ্রাসী মাটি থেকে
ম্রিয়মাণ অঙ্কুরোদগম দেখে
সাপলুডোর ছক গড়ে তোলে,
ওঠা
নামা
নামা
ওঠা...
বদ রক্তের ছোঁয়াচে স্পর্শেও
হৃদপিণ্ড
রক্তখাদক
(৭)
এই দুটো কথা বলতে পারি--
মাত্র দুটো, তার বেশি নয়;
ধূতরা ফুলগুলো ধৃতরাষ্ট্র মার্কা চাহনিতে
আমাকে দেখেছিল... উত্তাপ!
অবশেষে একটা বিড়ি ধরিয়ে
হাইপোথিসিস! হাপিত্তিশ! কী জ্বালা মাইরি!
যারা কবিতাকে কেলিয়ে মিলিয়ে
নেকুপুষু আনন্দ পাচ্ছেন
অকারণ মনখারাপ হ'লে
স্টেফি সিকিওর এক্সট্রা লার্জে
চোখটা মুছে ফেলুন
সেই সকালের ধারাপাতে আর--
বর্ষাতি নিষ্প্রয়োজন
আমরা এবার পটলচেরা হই
(৮)
বিষয়টা অতটা গুরুত্বের ছিল না
একটা সামান্য ইঁদারা, কেতাদুরস্ত
কিছু জল
আর কাক কোকিলেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারত
কিন্তু সেটা থাকল না!
কাক আর কোকিল একসঙ্গে চেঁচিয়ে উঠল
ঘাবড়ে গিয়ে ইঁদারা থেকে জল শুকিয়ে গেল!
যোগফলগুলো এঁদো পাকস্থলীর ওপর
চাপ বাড়াতে বাড়াতে আস্তে আস্তে হাতের
নাঙালের বাইরে চলে গেল;
শূন্যস্থানে ভর্তি হ'ল
শীঘ্রপতন হওয়া শীশ্নের ধূসর অবসাদ