শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

কাকলি মান্না

 


কাকলি মান্না


কথোপকথন


তারপর কথা ও

মুঠো মুঠো সবুজ নদী

নেমে আসে অসমাপ্ত শব্দের ভিতর

রাস্তা বদলায় প্রতিদিন ক্যানভাস

দৃশ্যপট জন্মের সহবাস...


আর কারো ঠাণ্ডা পানীয়ের ভিতর 

জমে ওঠে অভিমানী  মেঘ,

নিদ্রিতার শরীর তখনও

জেগে থাকে, আত্মার ভেতর শুরু হয় কোলাহল

আগামীর শুভেচ্ছা


এভাবেই অপেক্ষার গায়ে ভবিষ্যতের ঘ্রাণ

মেঘ মদির স্বপ্নের উড়ান


ইচ্ছের চূড়ায় উঠে

তোমাকে ছোঁবো, 

মৃত্যুকে বলে দেবো অনেক

অনেক দেরিতে এসো, মিলন বেলায়


না পাওয়ার  ব্যথায় দীর্ণ করো

জীবনের এজলাসে অন্য কোনো 

সহমর্মিতায়, কিম্বা  স্যারকে

চলো নিহিত পাতাল ছায়ায়

মননের কুটো ভাঙি অন্য এক নিশীথ যাপনে


এভাবেই  অন্ধকার ভেঙে অন্ধ রোজ কবিতা দ্যাখে

 

 

 

নিষিদ্ধ রেকাবি,

অপেক্ষামান পেন্ডুলাম এবং অন্যান্য


রেকাবিতে নিষিদ্ধ শব্দেরা অপেক্ষামান পেন্ডুলামের মতন

অক্ষরের শুদ্ধতা নিয়ে আজ আর কেউ প্রশ্ন করছে না

অনুভূতির ভেতর চুপ করে থাকা স্তব্ধতায় ঝড়ের পূর্বাভাস


একটা অস্পষ্ট আহ্বান

একটা বার্তা ইথার তরঙ্গে ভেসে আসে

যে আঙুল ভালোবাসা ছুঁয়ে রোদ্দুর হতে চায়

সেই আঙুল ভাষার জন্য বিদ্রোহ লিখে যায়. ।


কবিতা বিরহ  হোক বা বিদ্রোহ যত্নে সাজায় ভাষার উত্তাপ ।

 

 

 

গন্তব্য আরশিনগর


জাগরণ ঘুমে বদলে যেতে পারে চেনা পথ

কিছুটা  হাঁটা পথ পেরিয়ে গেলেই

ক্লান্তি মোছা গন্তব্য  হয়তো!

মনের ভেতর গোঙাছে কেউ

কী ফেলে যাচ্ছো?

কোথাও যেন যাবার ছিল

চেনা  সাইকেল আর চেনা চেনা মেলাংকলি

গোছান আছে ঘর বাড়ি,  বই তাক

অসমাপ্ত  ভ্রমন কাহিনী

 

শুকিয়ে গেলে সম্পর্কের চারা গাছ

খোলা দরজার  পাশে অপেক্ষার  শূন্যতা

 

কথা ছিল ফেরার

তবুও হেঁটে যেতে হয় শিরোনামহীন গন্তব্যে