নাসির ওয়াদেন
বৃত্তের ভেতর শূন্য
বৃত্তের ভেতরে খেলা করে সরল রোদ
শ্বাসযন্ত্রে সুখী হরিণীর ঘ্রাণ লেগে আছে
শ্বাপদ বৃত্তি আধফোটা হৃদয়ে তোলে ঝড়
মৃত্তিকাতল আঁধার খুঁড়ে ইতিহাস খোঁজে
চতুর বিকেলগুলো লাঞ্ছনার পাক খায়
অলস বাতাস উড়ে দুপুরের প্রত্যাশা
দেহাতী বাতাস জ্বালে পুবের আলোক
সংসার রঙে মিশে আছে ভোরের কুয়াশা
বৃত্তের বাইরে জোনাকিডানার নিজস্ব রূপে
পাখির ঠোঁট রাঙা, জীবন অদ্ভুত স্বরূপে, বিরুপে
আত্মলিপি
কঠিন শিলালিপির ভেতর জড়িয়ে আছে
অদ্ভূত হস্তরেখাগুলো , ইঙ্গিত করে ঘুম
রোদ জাগা নীরব ঐতিহাসিক ঢিবির উপর
কথাকলি দিয়ে সাজাই বাগান,পাথরেরফুল
আমার শরীর
ঘিরে রাখে ঘুম-ব্যথা দিয়ে
চারদিকে কঙ্কালরাত,জীবন রোদে সেঁকা চর
প্রিয় রজনীগন্ধা, তোমার কোমল রমণী হাতে
পাথুরে ঝরনার গান বেজে ওঠে
বিশ্বাসীভোর ডানা মেলে উড়ে মেঘেদের ফাঁকে
আত্মলিপি শুধু ঢাকা জীবাশ্মে , ফসিলে
আদিম অস্তিত্ত্ব জেগে আছে পাথরের ঢেউ-এ
ঝরনার স্রোত-সংগীত শুনি জোছনা,আলোকে
আদি জননীর অনাবৃত বুকের দুগ্ধ
আলোকিত করে আমাদের জীবন উৎস,ধ্যান
উৎস-ভূমির ভাঙ্গা বাজনা থেকে বেজে উঠে
ঝরাপাতার তান, গুহালিপি থেকে অক্ষর গান
নবনীতা
সন্ধ্যা নামলে কালো ছায়া নেমে আসে
আলো নিভে যায় চারপাশে নিস্তব্ধতা
চাঁদ উঁকি মারে, চাঁদ নয় নবনীতা
কখনও কখনও চোখ তার জলে ভাসে
নারী হলেও মন থাকে না সব নারীর
যে চোখে আশ্রয় জমা পুরুষের হৃদয়
কখনও সে জ্বলন্ত আগুন, কিন্তু মোহময়
সেই নারী মাতৃসম, উন্নত উদীপ্ত শির
নবনীতা কোন নারী না, নয় মায়াবী শরীর
রক্তমাংস হীন, ঘুম নেই ক্ষুধা নেই তার
অতন্দ্র প্রহরী
সে আমার নিজস্বতার
ঘুমন্ত বিছানা জুড়ে অস্তিত্ব থাকে সে নারীর ।