শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

রূপময় ভট্টাচার্য

 


রূপময় ভট্টাচার্য

দোঁহে


দূর থেকে গানের একটা হালকা সুর ভেসে আসছে। না কথা বোঝা যাচ্ছে, না সুর। শুধু একটা মৃদু গুঞ্জন। তোমাকেও সেই আধো গুঞ্জন পাঠালাম। আমি কথা বসিয়ে নিচ্ছি , তুমি সুর বসিয়ে নিও। তারপর যত্ন করে ভাঁজ করে রেখো আলমারিতে। আমাদের গান সুগন্ধ ছড়াক ব্যবহারের অপেক্ষায় থাকা জামাকাপড়ে। তোলা থাক এই না লেখা , না সুর হওয়া গানটা।


কখনো মাতলা নদীর ধারে  চাঁদ ধুইয়ে দেওয়া কোনো বসন্ত রাতে গাওয়া যাবে একসাথে।

 

 

 

অনতিক্রম্য


এই দূরত্বটা বাসের ঘুমের মত। খুব সাময়িক কিন্তু কেন যে এত লম্বা লাগে। ঘুম ভাঙলে মনে হয় নামার স্টপেজ পেরিয়ে গেলো বুঝি। অথচ দেরী আছে। ঘুমঘোর আঙ্গুলে মুছে বসি।


তুমি কি আমার সেই অনতিক্রম্য বাসঘুম ? আজ কন্ডাকটর এসে ডেকে ফিরে যাবে না তো? যদি ঘুম ভেঙে দেখি বাস নিভে আছে কারশেডে। আর তুমি নিরাপদে ঘুমোচ্ছো প্রিয় মানুষের সাথে সফেদ বিছানায়! এরম সময় কম পয়সার টিকিটে দূরপাল্লা গিয়েও খুশি হওয়া যায় না কী?

 

 

 

ট্রিটমেন্ট


মৃত্যুর মতই সত্যি তুমি। কিছুটা বুঝি, কিছুটা মেনে নিই, কিছুটা ভয় পাই। আর বাকিটা ধূসর চিকিৎসা। জানি এ রোগের নিরাময় নেই। সান্ত্বনা আছে মাত্র। আর আছে, পুরনো কিছু দুর্বোধ্য প্রেসক্রিপশন। কাজ দেবেনা জেনেও রেখে দিয়েছি। এই আশায়, যদি কখনো কোনো ডাক্তার চোখ বুলিয়ে দেখতেন। তারপর গম্ভীর মুখে ভ্রু কুঁচকে চোখে না তাকিয়েই বলতেন -  'ভুল ওষুধ খেয়ে এসেছেন এতদিন।  আর একটু যদি আগে আসতেন আমার কাছে ' ...