তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
ক্লান্তি
তোমার মেঘজন্ম সার্থক।
কেমন বৃষ্টিজলে ধুয়ে ফেলো
তোমার যাবতীয় ক্লান্তি !
আবার ঝকঝকে রৌদ্রস্নাত হয়ে ওঠো!
কই আমিতো পারিনা !
পারিনা মেঘরাঙা দু'টি চোখে
স্বপ্নের আলপনা আঁকতে!
পারি'না দু'টি মণিকাঁচে
রোদরঙ মাখতে!
আজ বড় ক্লান্ত লাগে সব-
ক্লান্ত শরীর আর ক্লান্ত এ মনে।
ক্লান্তির গলিপথে শুধু ভুল জমে ভুল।
ক্লান্তির বাষ্প ভেজা চোখের কোণে।
শব্দগুলোকে নীরবতা দিয়ে ঢাকি।
একটা একটা করে হিসেব মেলাতে গিয়ে
দেখি, সব অঙ্কই শূন্য।।
আলোর দ্বীপ
শিশিরের শব্দ শুনেছো কখনো?
সেও যেন বেদন ব্যথার স্বরে
ভাসানের গান গেয়ে চলে।
পদ্মপাতা চুপ করে শোনে,
তারও চোখ জল ছলছল।
রোদেলা দুপুর এসে মোছায় নয়ন।
ঘাসে-ঘাসে রাখে তার নরম আভাস।
পৃথিবীর সব প্রেম জমা হয় আলোর দ্বীপে।।
শেষের সে'দিন
প্রেম যদি চলে যায় -
জীবনে আর কীইবা থাকে, বলো?
ঘরের নরম আলোর সুখ যদি মরে যায় -
আরকি ভালো লাগে,বলো??
অনন্ত জীবনের পথে একা হেঁটে চলা স্বপ্নহীন মন,
হৃদয়ের মাঝে ক্লান্ত ব্যথার ভিড়ে রাত্রি সাজে।
তুচ্ছ,হীন যত আকাঙ্ক্ষার বীজ মুখোশ আড়ালে।
মৃত্যুও অবহেলায় ফেলে যায় সাধের শরীর৷
পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যে নামে নিবিড় জারুল শাখায়।
হিমঘরে কুয়াশার ভিড়, শেষের সে'দিন।।