শ্রাবণী সিংহ
যতদূর চোখ যায়
পালাতে চাই এই দৃশ্য থেকে,
এই রসায়ন সবুজ সবকিছু থেকে।
পালাতে ইচ্ছে করলেই ডানা মেলি...
এই পথভার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
অক্টোপাসের মত আটটি গলি।
সখ্যতা মেশানো ছাতিমগাছ
আর ওই পর্যন্তই তার পরিধি।
নজরমিনার থেকে নিকট জঙ্গলে
একটা পথছায়া
যতদূর চোখ যায়
……
পালানো হয় না আর
তোমার চোখের ইশারায়
আগামীর বিশ্রাম,
দাঁড়িয়ে আছি বিবশ নারী।
অলিখিত শব্দের বাগানে
জংলাফুল হাসে জলার ধারে...
হাওয়ায় মেশায় মেশকে আম্বর
বেপরোয়া জলবাতাস আদরের নামে
এঁকে দেয় বিষাক্ত চুম্বন
প্রতারণা বড় হওয়ার এক তাজা বিশেষণ।
কত দ্রুত ছলাকলায় ভুলে যাই আমরা,কত সহজে জীবনের
রঙচঙ কত
ছবিতে রাখি
কেন যে রাখি!
স্খলিত মাস্তুলের মত কত বিনিময়
কত অনুযোগ যে মিশে যায় ছায়ার কৌতুকে
ছোট-বড় সব যাওয়াই থেকে যায় শেষমেশ
অলিখিত শব্দের বাগানে।
একে ভাঙতে গিয়েই
দেখার চেয়ে বোঝা কম।
যতদূর দেখা যায় তার বেশিও একটুও দেখতে শেখে না
কেউ
সবাই নিজের সীমাবদ্ধতার কাছে হার মেনে নেয়
আর
তাই-ই হয়ে যায় তার ভবিতব্যের ঠিকানা।
ভাবলেশহীন খাঁচাঘর
একসময় সাক্ষী থাকে স্কোয়ার ফুটের আকাশ ও একলা
চেয়ার।
এই অপরাহ্ন,এই বিকেল
দিনান্তের শেষ রশ্মিজাল বিছিয়ে দেয়
শক্তখোলের দেয়ালে।
একে ভাঙতে গিয়েই আহত তুমিও।